নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর মোহনপুর থানাধীন বেড়াবাড়ী গ্রামে দীর্ঘদিনের জমিজমা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে রোপণকৃত গমের চারা গাছে বিষ প্রয়োগ করে পুরো ক্ষেত পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু গমক্ষেতই নয়-কর্তন করা হয়েছে ১০টি আমগাছ, দুইটি কাঠাল গাছ ও ২০টি কলাগাছ। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন জমির মালিক মফেজ সরদারসহ তার পরিবারের একাধিক সদস্য।
ঘটনার পর মফেজের স্ত্রী রুনা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩, তারিখ ২৬-১১-২০২৫ ইং।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, মামলার পর থেকেই বিবাদীরা নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার ভোরে তারা একত্রিত হয়ে মফেজের রোপণকৃত গমক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে সম্পূর্ণ ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে প্রতিপক্ষ নিজেদের আলু চাষ শুরু করেছে বলেও অভিযোগ।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন- মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে মোমিন (৫৫), ওবাইদুলের ছেলে মুতালিব (১৯), মোঃ মোমিনের ছেলে শামিম (৩৪), রহমতের ছেলে সোহান (২০), মৃত আঃ রহিমের ছেলে রহমত (৪০) ও কেরামত (৪০), মোঃ বদরের ছেলে মনি (৩০), মৃত হোসেনের ছেলে রিয়াদ (২২), মোঃ মোমিনের ছেলে রনি (২৬)সহ আরও অনেকে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মফেজ ও তার ভাইরা পৈত্রিক জমিতে গম রোপণ করছিলেন। হঠাৎ উপরোক্ত বিবাদীরা জমিতে ঢুকে নিজেদের মালিকানা দাবি করে বাধা দেয়। একপর্যায়ে দু’পক্ষের বাকবিতণ্ডা সংঘর্ষে রূপ নেয়। ধারালো অস্ত্র, কোদাল ও লাঠিসোটা দিয়ে মফেজ ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালানো হয়।
গুরুতর আহতদের স্থানীয় কৃষকরা উদ্ধার করে মাহিন্দ্রা যোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
প্রায় ২৫ শতক জমির মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারের বিরোধ বহুদিনের। আদালতে মামলাও হয়েছে। মফেজ সরদারের দাবি- উক্ত জমি নিয়ে বিবাদীরা দুটি মামলা করেছিল, তবে দু’টিতেই আদালতের ডিক্রি তাদের পরিবার পেয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আদালতের ডিক্রি উপেক্ষা করে প্রতিপক্ষ জোরপূর্বক জমির দখল নিতে চেষ্টা করছে এবং গমক্ষেত পুড়িয়ে দিয়ে আলু চাষ করছে। এই ঘটনায় তার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জমির তফশিল: মোহনপুর থানাধীন বেড়াবাড়ী মৌজার- জেএল নং: ৭১, খতিয়ান নং: ৭৫২, দাগ নং: ৩৭৯৬। ভুক্তভোগী পরিবার অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা দাবি করেছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #















