বান্দরবান প্রতিনিধি: বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবির নায়েক মো. আক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সিএমএইচে নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকালে রামু সেনানিবাসস্থ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান, বিজিবির রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আহত নায়েক মো. আক্তার হোসেন বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নে কর্মরত সদস্য।
এর আগে রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বিজিবির একটি দল টহল দিচ্ছিল। এ সময় মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা একটি মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেন আহত হয়ে বাম পায়ের গোড়ালি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং অপর পাটিও ক্ষত-বিক্ষত হয়।
পরে বিজিবি সদস্যরা আহত আক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসস্থ সিএমএইচে ভর্তি করে।
কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের আহত হওয়ার পরই বিজিবি সদস্য আক্তার হোসেনকে উদ্ধার করে রামু সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিকেলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা ঢাকার সিএমএইচে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে বিকেলে রামু সেনানিবাস থেকে হেলিকপ্টারে চিকিৎসাধীন আক্তার হোসেনকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তিনি।
স্থানীয় এবং বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, দুর্গম পাহাড় আর গভীর অরণ্যে ঘেরা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে অসংখ্য স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে মিয়ানমার। ফলে প্রায় সময় ওই এলাকায় মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সীমান্ত এলাকায় ২০২৩ থেকে ২০২৫ পর্যস্ত স্থল মাইন বিস্ফোরণে ১৬ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২৪ সালে তিনজন এবং ২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১০ জন আহত হয়েছেন। সর্বশেষ রোববার (১২ অক্টোবর) বিজিবি সদস্য পা হারালেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বান্দরবান প্রতিনিধি মো: আলাউদ্দিন। #