ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রায় প্রতিদিনই ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে গোলাগুলি

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক:   ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর অস্ত্র বিরতি লঙ্ঘন করে প্রায় প্রতিদিনই ভারত-পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে গোলাগুলি।

এ অবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের বাসিন্দারাও। অনেকেই গোলা বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাকস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতের হামলায় গত সপ্তাহে মারা গেছেন অন্তত তিনজন।

বলা হয়ে থাকে, ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর যে যতটুকু না সুন্দর, তার চেয়ে কয়েক গুণ সুন্দর পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর।

তবে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর এই অঞ্চলেও এখন বিরাজ করছে উত্তেজনা। নয়াদিল্লির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন সাধারণ মানুষ। নিন্দা জানাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের।

সাধারণ মানুষ জানান, এখনও কার্যত অবরুদ্ধ ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। আমাদের আত্মীয় স্বজন যারা আছেন, তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। জানি না তারা কতটা শঙ্কার মধ্যদিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। পরিস্থিতি দেখে আমারই জম্মু-কাশ্মীর ও শ্রীনগরে গিয়ে প্রতিবাদ করতে ইচ্ছে করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীরিদের আটকে রেখেছেন। তার হিম্মত নেই যে কারফিউ প্রত্যাহার করবেন।

স্থানীয়দের সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে ফেলেছে, সীমান্ত রেখায় গোলাগুলির বিষয়টি। প্রায় প্রতিদিনই কম বেশি গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। এতে হতাহতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঘর-বাড়ি। প্রাণে বাঁচতে অনেককেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

আজাদ কাশ্মীরের এক নাগরিক জানান, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীরা গুলি করে তখন আমরা প্রচণ্ড ভয়ে ভয়ে থাকি। সব মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। যাদের বাঙ্কার নেই তারা সব থেকে বেশি বিপদে পড়েন।

পাকিস্তান সরকার যদি কাশ্মীর ইস্যুতে কোনো কিছু করতে না পারে তাহলে আমরা কাশ্মীরিদের হয়ে লড়তে রাজি আছি। ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করার সময় এসে গেছে।

কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে বলে জানান স্থানীয় নেতারা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.