বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ক্যারিবিয়ান সাগরে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় আবারও হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। এ হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারের (৪ ডিসেম্বর) এই হামলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ক্যারিবিয়ান সাগরে নৌকায় সবশেষ এই হামলা এমন সময়ে ঘটল, যখন ২ সেপ্টেম্বর একটি নৌকায় পরপর দুটি হামলা চালানো হয়েছিল,এ তথ্য সামনে আসার পর পুরো অভিযান ঘিরে ট্রাম্প প্রশাসনে নতুন করে তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের হামলা সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে ইউএস সাউদার্ন কমান্ড জানিয়েছে, সবশেষ হামলার নির্দেশ দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। আন্তর্জাতিক জলসীমায় একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর পরিচালিত নৌযানে তারা প্রাণঘাতী হামলা চালায়।
সাউদার্ন কমান্ড আরও জানায়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী নৌযানটিতে মাদক বহন করা হচ্ছিল এবং এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পরিচিত মাদকচোরাচালান রুট দিয়ে চলছিল। নৌকায় থাকা চারজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা ঘিরে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মাছ ধরা নৌকা লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ এসব হামলাকে ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা’ অভিহিত করে অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
সেপ্টেম্বরের হামলার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কংগ্রেসের দ্বিদলীয় কমিটিগুলো নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রথম হামলার পর দ্বিতীয়বার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার নির্দেশ হেগসেথ দেননি। এ নির্দেশ দেন অ্যাডমিরাল ফ্রাঙ্ক ‘মিচ’ ব্রাডলি। ওই দ্বিতীয় হামলায় প্রথম হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
হোয়াইট হাউসের দাবি, এসব হামলা ‘সশস্ত্র সংঘাতের আইন’ মেনে করা হয়েছে। তবে আইন বিশ্লেষকদের মতে, নিরস্ত্র ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো যুদ্ধাপরাধের শামিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ম্যানুয়ালেও জাহাজডুবির পর জীবিতদের ওপর গুলি চালানোকে অবৈধ বলা হয়েছে। #

















