বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমার্ধে বিবর্ণ ফুটবল খেলে গোলও হজম করল রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচে ফিরলেও জয়ের পথে ফিরতে পারল না তারা। স্প্যানিশ লা লিগায় আবারও পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষস্থানে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করল জাবি আলোনসোর দল।
রোববার (৩০ নভেম্বর) রাতে জিরোনার মাঠ এস্তাদিও মন্টিলিভিতে লিগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন আজেদ্দিন উনাহি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে সফরকারী রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে।
এ নিয়ে লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ ড্র করল রিয়াল মাদ্রিদ। ১৪ ম্যাচে ১০ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। সমান ম্যাচে তাদের চেয়ে ১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। ১৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ১৮ নম্বরে আছে জিরোনা।
অবনমন অঞ্চলে থাকা দলের বিপক্ষে গোলের জন্য ২৫টি শট নিয়ে কেবল ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে রেয়াল। জিরোনার ১০ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গত বুধবার অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৪-৩ গোলে জয়ের ম্যাচ থেকে এদিন একাদশে পাঁচটি পরিবর্তন আনেন রেয়াল কোচ আলোন্সো।
৩৮তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় রেয়াল। কর্নারে কাছ থেকে ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের হেড ফিরিয়ে দেন জিরোনা গোলরক্ষক।
এক মিনিট পর বক্সে জটলার ভেতর থেকে এমবাপে জালে বল পাঠালেও মনিটরে দেখে হ্যান্ডবলের সংকেত দেন রেফারি। জালে পাঠানোর আগে ফরাসি তারকার হাতে লেগেছিল বল।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় জিরোনা। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ওনাহি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর্দা গিলেরের জায়গায় এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে নামান রেয়াল কোচ। ৫৪তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে মিলিতাওয়ের হেড যায় গোলরক্ষক বরাবর।
৫৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ পায় জিরোনা। তবে, ওয়ান-অন-ওয়ানে ভ্লাদিস্লাভ ভানাতের নেওয়া শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান কোর্তোয়া।
৬১তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়র জিরোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। ৬৭তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান এমবাপে। ভিনিসিউস বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
এই মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপের গোল হলো ১৪ ম্যাচে ১৪টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২২ ম্যাচে ২৪টি। অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে দলের চারটি গোলই করেছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী তারকা। বাকি সময়ে দুই দল চেষ্টা করে গেলেও গোলের দেখা আর মেলেনি। #

















