BTC News | বিটিসি নিউজ

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে থাকছে না হামাস

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে থাকছে না হামাস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুষ্ঠানের সহ-সভাপতিত্ব করবেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এতে যোগ দেবে না ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

এদিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর অব্যাহত আছে গাজা সিটি অভিমুখে মানুষের ঢল। একদিনে ফিরেছেন প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা। এদিকে দুর্ভিক্ষ থেকে রেহাই পেতে উপত্যকাটিতে প্রতি মাসে ৬২ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর গাজায় ফিরতে শুরু করেছেন বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা। একদিনে উপত্যকাটিতে ফিরেছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। ধ্বংসস্তূপে পরিণত শহরে ফিরে অনেকে হতবাক ধ্বংসযজ্ঞ দেখে।

কেউ আবার স্বস্তি পেয়েছেন নিজে ঘর এখনো টিকে থাকার খবরে। যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে শহুরে অঞ্চল থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। যদিও এখনো প্রায় অর্ধেক ভূখণ্ডে অবস্থান করছে তারা।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় প্রতি মাসে কমপক্ষে ৬২ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে, না হলে দুর্ভিক্ষ আরও ভয়াবহ হবে। হামাস জানিয়েছে, তারা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সাহায্য পৌঁছানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সোমবার মিশরের শারম আল-শেখে বসবে ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’। এতে সহ-সভাপতিত্ব করবেন মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এরমধ্যে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা।

যাদের মধ্যে আছেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না হামাস। সংগঠনটি জানায়, কেবল মধ্যস্থতাকারী ও যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের কর্মকর্তারাই থাকবেন অনুষ্ঠানে।

এদিন তেল আবিবের শেবা মেডিকেল সেন্টার পরিদর্শন করেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে মুক্ত হওয়া বন্দিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের প্রস্তুতি চলছে। চুক্তির আওতায় সোমবারের মধ্যে বন্দি বিনিময় করবে হামাস-ইসরাইল।

শনিবার রাজধানী তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন হাজার হাজার ইসরাইলি। ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। মঞ্চে বক্তব্য দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার, কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ। তবে উইটকফ নেতানিয়াহুর নাম নেয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই প্রতিবাদ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইসরাইলিরা।

এদিন গাজা সফর করেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান। সফর শেষে তিনি জানান, তিনি গাজায় গিয়ে যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মোতায়েন হবে না।

সেন্টকমের প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাড কুপার এক্সে লেখেন, তিনি গাজা সফর শেষে ফিরে এসেছেন। সেখানে তিনি সেন্টকমের নেতৃত্বে একটি ‘সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’ গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন, যা ‘সংঘাত-পরবর্তী স্থিতিশীলতা রক্ষা ও সহায়তার কাজ করবে’।

প্রাথমিকভাবে ২০০ জন মার্কিন সেনা ইসরায়েলে পৌঁছাতে শুরু করেছে। তারা গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার আওতায় বাস্তবায়িত যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে সহযোগিতা করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী গাজায় মোতায়েনের জন্য একটি বহুজাতিক টাস্কফোর্সের সমন্বয় করবে। এতে মিসর, কাতার, তুরস্ক ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা অংশ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর