সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী নগরীর অন্যতম প্রবেশদ্বার তালাইমারী মোড়ে নির্মিত আরডিএ কমপ্লেক্স ভবনটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও একটি পূর্ণাঙ্গ সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৯ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় রাজশাহী নগরীর তালাইমারি মোড়ে নির্মিত আরডিএ কমপ্লেক্স ভবনের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাজশাহীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, আইনজীবী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র হিসেবে ভবনটি নির্মাণ করা হলেও এটি এখন সেই উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে না। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) একটি জনবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এটিকে লিজ দেয়। যা অত্যন্ত একটি নিন্দনীয় কাজ। রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনের সময় মতিহার চত্বর তথা তালাইমারি মোড় ছিল একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন স্থান যেখান থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, নাগরিক সমাজ ও আমজনতা আন্দোলন সংঘটিত করে। ভবনটিকে জুলাই ইতিহাসসহ এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস, বরেন্দ্র ভূমির ইতিহাস এবং ১৯৪৭ থেকে শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থান পর্যন্ত বাংলার আন্দোলন সংগ্রাম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাস উপস্থাপন এবং সংরক্ষণ সেইসাথে একটি পূর্নাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে গাড়ি পার্কিং সুবিধা, এম্পিথিয়েটার, উন্মুক্ত মঞ্চ বা মুক্তমঞ্চ, নাট্যশালা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, আর্ট গ্যালারি ও মিউজিয়াম এবং সুস্থধারার বিনোদনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। নগরবাসীর চিত্তবিনোদন, শিক্ষার্থী ও আগামী প্রজম্মের মেধা ও মননের বিকাশ এবং সুস্থ্য ধারার সংস্কৃতি চর্চার জন্য এটি বাস্তবায়ন করা জরুরি বলেও উল্লেখ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে আরডিএ কমপ্লেক্স ভবনের জনবিরোধী এই লিজ বাতিল করার দাবি জানান এবং এর নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র’ করার দাবিসহ এই ভবনটিকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও একটি পূর্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জোর দাবি জানান
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, আমরা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নই। এই ভবনটি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেয়ার জন্য নির্মিত হয়নি তাই তাদের নগরের অন্যত্র চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। প্রয়োজনে সহযোগীতা করারও প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এবং তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অনতিবিলম্বে ভবনটি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলনের আহ্বায়ক, লেখক ও গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী।
বক্তব্য প্রদান করেন, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই-৩৬ পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী, বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক হোসেন আলী পিয়ারা, নারী নেত্রী ঈশিতা ইয়াসমিন, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম শাওন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাদিম সিনা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন কর্মী ওয়ালিউর রহমান বাবু, গণঅধিকার পরিষদ রাজশাহীর যুগ্ম সদস্য সচিব মো. রানা সহ প্রমূখ।
সংবাদ প্রেরক মো. আতিকুর রহমান আতিক, সদস্য, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলন, সাধারণ সম্পাদক, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম। #

















