জুনিয়রদের দিয়ে হলেও পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত (ডাকসু) নির্বাচনে : ছাত্রদল

ঢাকা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচনে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে, এক যুগ ধরে ক্যাম্পাসে নিষ্ক্রিয় থাকা । মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে কেন্দ্রীয়, বিশ্ববিদ্যালয় ও হল কমিটি। ছাত্রদল বলছে, জুনিয়রদের দিয়ে হলেও পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত তারা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই ছাত্রদলের তেমন কোনো কার্যক্রম। ২০১০ সালে ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন তৎকালীন সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এরপর আরো কয়েকবার মারধরের অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু গেলো কয়েক মাসে কিছুটা পাল্টেছে পরিস্থিতি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সক্রিয় সংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভায় অংশ নেয় ছাত্রদলও। সেখানে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দেখা যায় ছাত্রদল নেতাদের।

অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিতে এসে ক্যাম্পাসে শোডাউন করেছে । যদিও তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি করার সুষ্ঠু পরিবেশ নেই।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, যদি বয়স্ক কেউ নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে আসে আর ছাত্ররা যদি তাকে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে কিন্তু তার ডাকসুর প্রার্থী হওয়ার সুযোগ নেই। কাউকে অধিকার থেকে বঞ্ছিত করার সুযোগ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই; যে কেউ প্রার্থী হতে পারবে না বা ভোটার হতে পারবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী তালুকদার বলেন, যদি রানিং ছাত্র দিয়ে হতো, আমfদের প্যানেল রেডি ছিল। আমরা সেটা প্রকাশ করিনি।  ৩০ বছর বয়স যে করা হয়েছে, এখন ৩০ এর ভিতরে যারা আছে তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দিতে হবে। হল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা বলছেন, বর্তমান বাস্তবতায় ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এসএম হল ও জগন্নাথ হলের আহবায়ক সজিব মজুমদার বলেন, যারা রানিং স্টুডেন্ট আছে যারা ভয়ে আছে। আমরা নির্বাচনের গেলাম, গেলে আমাদের ওপর হামলা হবে কিনা বা পরবর্তীতে আমরা পড়াশুনা কন্টিনিউ করতে পারবো কিনা।

এদিকে, বিএনপি মনে করে ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের পরিবেশ নেই। ফলে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের অংশ নেয়া এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কিত দলটি।

বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সহাবস্থানে আসতে হবে। সেইটা এখনো পর্যন্ত আমরা দেখছি না। যদি সেটা না হয় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষণ আমরা দেখি না।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাররই দাবি করছে, ক্যাম্পাসে আছে সব সংগঠনের সহাবস্থান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.