টনসিলের ব্যথা কমাবে যে সকল ঘরোয়া টোটকা

বিটিসি হেল্থ ডেস্কটনসিলের সমস্যা কম বেশী সব বয়সী মানুষের হয়ে থাকে, গলা ব্যথা কিংবা ঢোক গিলতে খুব কষ্ট হওয়ার মানেই হচ্ছে আপনি টনসিলের সংক্রমণে ভুগছেন। সাধারণত সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাস গুলোই টনসিলের এই সংক্রামণের জন্য দায়ী। তবে এ সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে ওষুধ-সিরাপের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি কার্যকর ঘরোয়া টোটকা।

তাহলে জেনে নেওয়া যাক টনসিলের ব্যথা হলে তা নিরাময় করার কার্যকরী ঘরোয়া পাঁচ পদ্ধতি:

 # লবন পানি
গলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি কম-বেশি আমরা প্রায় সকলেই করে থাকি তা হলো সামান্য উষ্ণ পানিতে লবন দিয়ে গার্গল করা। এটি টনসিলে সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবন পানি দিয়ে গার্গল করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কাও দূর করে দেয়।

# সবুজ চা এবং মধু
এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ বার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।

# আদা চা
দেড় কাপ পানিতে এক চামচ আদার কুচি আর আন্দাজ মতো চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৩-৪ বার এই পানীয়টি পান করুন। আদার অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি খুবই কার্যকরী।

# হলুদ দুধ
এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশি কার্যকরী। ছাগলের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাওয়া যায়। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ একটি উপাদান যা গলা ব্যথা দূর করে টনসিলের সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

# লেবুর রস
এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবন ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি যত দিন গলা ব্যথা ভালো না হয়, তত দিন পর্যন্ত খেতে থাকুন। টনসিলের সমস্যা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.