গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সুরক্ষায় সামরিক জাহাজ পাঠালো ইতালি ও স্পেন

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সুরক্ষায় সামরিক জাহাজ পাঠিয়েছে ইতালি ও স্পেন। এরই মধ্যে নৌবহরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে নৌযানগুলো।
খবরে বলা হয়, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় একের পর এক ইসরাইলি ড্রোন হামলার মধ্যে এই ঘোষণা দেয় স্পেন ও ইতালি সরকার। দেশ দুটির পাঠানো সামরিক নৌযানগুলো সুমুদ ফ্লোটিলার বহরে থাকা জাহাজগুলোকে নিরাপত্তা দেয়া ছাড়াও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে স্পেনের বার্সেলোনা বন্দর থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। ইসরাইলি বাধায় সবশেষ ৪টি মিশন পণ্ড হয়েছিল তাদের। ৫ম দফায় ৫০টিরও বেশি জাহাজ নিয়ে এ যাত্রা শুরু হয়। বহরে রয়েছেন সুইডিশ মানবাধিকার কর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ ৪৪ দেশের মানবাধিকার কর্মী। তাদের উদ্দেশ্য ইসরাইলের অবরোধ ভেঙে দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়া।
ইসরাইল বলেছে, তারা কোনোভাবেই এই নৌযানগুলোকে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘জিহাদি ফ্লোটিলা’ বলে আখ্যা দিয়েছে এবং হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে দাবি করেছে। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির বলেন, ‘এই মানবিক কর্মীদের সন্ত্রাসী ঘোষণা করা উচিত।’
এরই মধ্যে নৌবহরে বেশ কয়েকবার ড্রোন হামলা হয়েছে। সবশেষ গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে গ্রিস উপকূলের কাছে তাদের কয়েকটি জাহাজকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জাহাজের যোগাযোগ ব্যবস্থা জ্যাম তথা অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ফ্লোটিলার আয়োজকরা।
গত বুধবার জাহাজগুলোর কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ এবং আকাশে ইসরাইলি ড্রোন ওড়ার কথাও জানান আয়োজকরা। তিউনিসিয়া, গ্রীস ও অন্যান্য দেশ থেকে যাত্রা শুরু করার পর সুমুদ ফ্লোটিলার বেশিরভাগ জাহাজ একসাথে চলাচল করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজগুলো গ্রিসের ক্রেট দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.