নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৬ সালের বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে ধানের প্রার্থী তিনি। তিনি নিজে নিজে প্রার্থী ঘোষনা করেরনি। তাঁকে বিএনপি চেযারপার্ষন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়ন দিয়েছেন। এটা নিয়ে একটি কুচক্রি মহল নানা মিথ্যাচার করছে। তারা বলছে আমি নাকী বহিরাগত। আমি বহিরাগত নই। পবার এই গহমাবোমায় আমার নারী পোঁতা রয়েছে।
কারন এখানে আমার নানার বাড়ি বলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।
বুধবার পবার হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে গহমাবোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের পক্ষে গণসচেতনতা মূলক প্রচারণায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষে কর্মী সভায় তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার দল।
এই দল দীর্ঘ সতের বছর স্বৈরাচার হাসিনাকে বিতারিত এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করে আসছে। এই আন্দোলনের কারনে খুনি হাসিনা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা এবং শত শত নেতৃবৃন্দকে গুম করেছে। পাঁচ লক্ষ মামলা দিয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে এই সকল মামলায় ফাঁসিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মিলন আরো বলেন, আমারা এই সতের বছরে গায়েবী মামলা, হয়রানীমুলক মামলা ও বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকলেও তার নামে গুম মামলা হয়েছে। এগুলো আমরা শুনেছি। রাস্তায় বের হলেই পুলিশ পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বলতো এইতো মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে দে মামলা। কিন্তু এখন তার পরিবর্তন হয়েছে।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মুখে খুনি হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে গেছে। সেখান থেকে এখন দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা একেবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তিনি আর কোনদিন দেশে আসবেন না বলে জানান মিলন।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যেমন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পালিয়ে পাকিস্তানে যেয়ে আরামে বসেছিলেন, তেমনি তার মেয়ে হাসিনার একবার নয় এবার দিয়ে তিনবার পালালো। কিন্তু আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অনেকবার চেষ্টা করেছে দেশ থেকে বিতারিত করতে।
ওয়ান-ইলেভেন এর সময়ে বার বার তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ দিয়েছে। না গেলে তাঁর সন্তানদের হত্যা করার হুমকিও দিয়েছে সে সময়ে। কিন্তু তিনি উত্তর দিয়েছিলেন তাঁর সন্তান মাত্র দুইটি নয়। দেশের সকল মানুষ তাঁর সন্তান। তাদের ছেড়ে এ দেশ থেকে তিনি কোথাও যাবেন না।
তিনি দেশ ছেড়ে না যাওয়ায় তাঁর দুই পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ও আরাফাত রহমান কোকোকে আটক করে নির্মম নির্যাতন করে গুরুতরভাবে অসুস্থ করে ফেলে। সেইসাথে বেগম জিয়াকে মিথ্যা রাজনৈতিক মামলায় আটক করে প্রহসনের বিচার করে দশ বছরের জেল দেয়া হয়।
তিনি সোয়া ছয় বছর একটি কারাগারে একাই ছিলেন বলে জানান তিনি। নির্যাতনে কারনে আরাফাত রহমান কোকো চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদ হন এবং তারেক রহমান এখনো চিকিৎাসর জণ্য লন্ডনে আছেন। এ মাসেই তিনি দেশে ফিরবেন বলে উল্লেখ করেনি তিনি। বেগম জিয়া জেল থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখনো তিনি অসুস্থ। ছয়বার তিনি গুরুতর অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন।
মিলন বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলাম নির্বাচন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এক সময়ে বলছে পিয়ার পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাবেনা। আবার বলছে সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না। এখন আবার চলছে গণভোট ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনভাবেই করতে দেয়া হবেনা। উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতের পক্ষ নিয়েছিলো। যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে। শুধু তাইনয় ১৯৮৬ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জাতীয় মোনাফেক এ পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি সাথে নির্বাচন করে এমপি মন্ত্রী হওয়ার পরে আবারও এই মোনাফেকরা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পাটির্র সাথে এক হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো।
তিনি বলেন, এই জামায়াত এখন বেহেস্তের টিকিট বিক্রি করে বেড়াচ্ছে (নাউজুবিল্লাহে)। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের বোঝাচ্ছে দাড়িপাল্লায় ভোট দিলে নিশ্চিন্তে জান্নাতে যাওয়া যাবে। এই ইসলাম বিরোধী মোনাফেক দলের মিথ্যা আশ্বাস ও ধোকাবাজি থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। সেইসাথে নিজ দলের নেতাকর্মীদের বসে না থেকে প্রতিটি পাড়ায়, পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জামায়াতের ধোকাবাজি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা এবং তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে তুলে ধরার পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে দেশের উন্নয়ন, স্থীতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেকারদের কর্মসংস্থানের লক্ষে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট প্রদান করার জন্য পবা-মোহনবাসীসহ দেশবাসীকে অনুরোধ করেন মিলন। শেষে বেগম জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হাসিবুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং পবা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মামুন আক্তারুজ্জামান এবং পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সালাহ উদ্দীন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ মুন্নাফ, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, মহানগর বিএনপির ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য রুহুল আমিন, পবা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, জেলা যুবদলের সদস্য ফরিদুল ইসলাম সাহেব জাদা, হরিপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম।
আরো উপস্থিত ছিলেন, দামকুড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি দস্য এনামুল হক, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গোলাপ হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সহ-সভাপতি বকুল আহম্মেদ, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহাবুল ইসলাম, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক জানারুল ইসলাম ও সভাপতি মতিউর রহমান, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক ও পবা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন। এছাড়াও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #

















