বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইতিহাস গড়ার হাতছানিতে ম্যাচের আগে দলকে উজ্জীবিত করেছিলেন কোচ এন্টসো মারেস্কা। সেটি করতে পেরেছে তার দল। অনন্য এক অর্জন ধরা দিয়েছে চেলসির। তবে কনফারেন্স লিগ তো তাদের প্রত্যাশিত আঙিনা নয়। আগামী মৌসুমে তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই দাপুটে প্রত্যাবর্তনের আশায় তারা।
ইউরোপের শীর্ষ দুই ক্লাব আসর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের শিরোপা তারা দুবার করে জিতেছে। এবার তৃতীয় ধাপের টুর্নামেন্টের ট্রফিও জিতল। তিনটি শিরোপাই জয় করা প্রথম ক্লাব চেলসিই।
এছাড়াও ২৫ বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কাপ উইনার্স কাপও জিতেছে তারা দুবার। এই চারটি আসর জয়ের একমাত্র নজিরও তাদের।
স্কোরলাইন দেখে অবশ্য ম্যাচের পুরো চিত্র অনুমান করা কঠিন। নবম মিনিটে এগিয়ে যাওয়া রেয়াল বেতিস সেই ব্যবধান ধরে রাখে ৬৫ মিনিটের আগ পর্যন্ত। এরপর এন্সো ফের্নান্দেসের গোলে সমতায় ফেরে চেলসি। মিনিট পাঁচেক পর দলকে এগিয়ে নেন নিকোলাস জনসন।
এরপর ৮৩তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান জেডন স্যানচো। যোগ করা সময়ে মোইসেস কাইসেদোর গোল আরও বাড়িয়ে দেয় চেলসির জয়ের আনন্দ।
গোল না করেও অবশ্য চেলসির জয়ের নায়ক কোল পালমার। সৃষ্টিশীলতা ও আগ্রাসন মিলিয়ে অসাধারণ খেলেছেন তরুণ এই উইঙ্গার। বিশেষ করে, দ্বিতীয়ার্ধে বেতিসকে স্রেফ ছিন্নভিন্ন করেছেন তিনি। প্রথম দুটি গোলে করেছেন সহায়তা। দুর্দান্ত খেলে ২৩ বছর বয়সী ফুটবলারই হয়েছেন ফাইনালের ম্যাচ-সেরা।
ফাইনালের আগে কোচ মারেস্কা বলেছিলেন, তৃতীয় ধাপের এই টুর্নামেন্টের জন্য দলকে উজ্জীবিত করতে পারা ছিল ভীষণ কঠিন এবং এটা তিনি বুঝিয়েছেন যে, তাদের জন্য আপাতত এই আসরই বিশ্বের সেরা টুর্নামেন্ট। ইউরোপের চারটি ট্রফির সবকটি জয়ের নজির গড়ার তাড়নার কথাও বলেছিলেন তিনি। জয়ের পর কোচ তাই ছিলেন দারুণ উচ্ছ্বসিত।
“আমি খুবই খুশি। প্রথমার্ধে কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম, কারণ আমাদের খেলার ধরন ছিল ভুল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভালো খেলেছি।”
“সম্ভাব্য সবকিছু জয় করা প্রথম ক্লাব হতে পারা দারুণ। দেখছেনই তো, সমর্থকেরা কীভাবে উদাপন করছে। এতেই ফুটে ওঠে, এটা তারা কতটা তীব্রভাবে চাইছিল।”
“আমর জানতাম, ওরা (বেতিস) ভালো দল এবং আমাদের পরীক্ষা নেবে। বিশেষ করে, শুরুতে সমর্থকরা ওদের উজ্জীবিত করছিল। তবে জানতাম, এটা মিইয়ে আসবে। আমাদের স্রেফ ধৈর্য ধরে লড়াই চালিয়ে যেতে হতো ও মুহূর্তগুলি লুফে নিতে হতো। সেটিই আমরা করেছি দ্বিতীয়ার্ধে।”
ট্রফি জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যে আসল কথাটিও বলেছেন রিস জেমস। কনফারেন্স লিগ তো তাদের আসল জায়গা নয়! এবার প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ হয়ে আগেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত করেছে চেলসি। অধিনায়ক তাই তাকিয়ে আগামী মৌসুমে ইউরোপের সেরা আসরের মঞ্চে।
“ট্রফি জয়ের অনুভূতি সবসময়ই দারুণ। ম্যাচে সময় গত গড়িয়েছে, আমরা ততই ভালো খেলেছি এবং সৌভাগ্যবশত দ্বিতীয়ার্ধে চারটি গোল করতে পেরেছি।”
“এই প্রতিযোগিতায় যখন খেলছি, এটি আমাদের জিততেই হতো। পরের মৌসুমে আমরা আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছুটব লক্ষ্য নিয়ে।” #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.