ভাসানী পরিষদের কার্যনির্বাহী ও কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কাজী ইফতেখার হোসেনকে আহ্বায়ক ও আজাদ খান ভাসানীকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি ও ১০১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেছে ভাসানী পরিষদ।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত গ্রেগরিয়ান এলুমনাই ক্লাব লিমিটেডে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এই কার্যনির্বাহী কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী জামান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব সালমান জুয়েল রহমান, মুখ্য সংগঠক আব্দুল আলিম, মুখপাত্র অলিউল্লাহ প্রমুখ। পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা হন বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি বুলবুল খান মাহবুব।
সারা বাংলাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধিদের নিয়ে ভাসানী পরিষদের সদস্যদের মৌখিক ভোটের মাধ্যমে এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে নবগঠিত কমিটি চারটি উপকমিটি গঠন করে।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী প্রকাশিত হক-কথা পত্রিকাটিকে নতুন আঙ্গিকে প্রকাশের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।
কমিটি গঠন শেষে আহবায়ক কাজী ইফতেখার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আজাদ খান ভাসানীর সঞ্চালনায় মওলানা ভাসানীর  জীবন ও কর্ম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিল এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম খালিদ হাসান, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল, ন্যাপের (ভাসানী) চেয়ারম্যান হাসরত খান ভাসানী, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, সাম্প্রতিক দেশকাল পত্রিকার সম্পাদক ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ, জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ফরিদুল হক, জাতীয় নাগরিক পার্টির সংগঠক ইমরান ইমন, সাইদ উজ্জ্বল, নাফিউল ইসলাম, শেখ খাইরুল কবির, গণসংহতি আন্দোলনের আলিমুল কবির, বাঙ্গালা গবেষণার কর্ণধার আফজালুল বাসার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তারেক ফজল প্রমুখ।
হাসরত খান ভাসানীর মোনাজাতের পর ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর জীবন দর্শন ও তার স্বপ্নকে চর্চা এবং লালনের জন্য এবং জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রকাশ, নৈতিক মূল্যবোধের অনুশীলন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন এবং সমকালীন সমাজ কাঠামোর প্রগতিশীল পরিবর্তনের সাথে নিজেদেরকে খাপ খাওয়ানোর মানসে ও সচেতন নাগরিক জনগোষ্ঠী তৈরীর লক্ষ্যে ভাসানী পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আগামী দিনে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে নিরলস কাজ করে যেতে চায় বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে ভাসানী পরিষদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.