দিঘলিয়া সরকারি এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজের সাবেক সাবেক অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কলেজের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ 

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দিঘলিয়া সরকারি এমএ মজিদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের কাঁধে ভর করে তাঁকে ব্যবহার করে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও নগদ অর্থ লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যসহ কয়েক জন জিবি সদস্যের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ এবং অভিযোগ পরবর্তী তদন্ত কমিটির তদন্ত হলেও এবং জনৈক পরিচালক উক্ত কলেজ পরিদর্শন করলেও সকল অনিয়ম, দুর্ণীতি ও টাকা আত্নসাতের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেছে। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার একমাত্র কারণ এ ঘটনার সাথে জড়িত সবাই আওয়ামী ঘরোনার লোক।
অভিযোগ গুলো নিম্নরূপঃ
(১) কলেজের ভবন নির্মাণের পরিকল্পনাকে সামনে নিয়ে খুলনা ন্যাশনাল ব্যাংকে করা এফডিআর এর ২১লাখ ৩৯ হাজার ১৬১ দশমিক এক দুই টাকা তুলে আত্নসাৎ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সামনে ১২ লাখ টাকা সভাপতির ব্যক্তিগত এ্যাকাউন্টে জমা থাকার কথা বললেও সে টাকাটাও কলেজে জমা দেওয়ার ইচ্ছাটাও কেউ পোষন করেননি। (যার নং ৫৫০৪/৮৯/১৫/১১/২০১০। আর এই এই এফডিআর এর টাকা আত্নসাতের জন্য খান রওশন আলী অবৈধ ও অনৈতিক আওয়ামী বলয়ের শক্তি প্রয়োগ করে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজের আনুকূল্য সভাপতিসহ কমিটি গঠন করিয়েছে।
(২) খান রওশন আলীর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতিঃ কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক হিসেবে সর্বোচ্চ নম্বর রওশন আরা পাওয়া এবং নিয়োগ কমিটি রওশন আরা এর পক্ষে লিখিত সুপারিশ করার পরও সেই সিদ্ধান্তপত্র কাটাকাটি করে রওশন আলী ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক নিয়োগ করিয়েছেন। যা দৃষ্টে প্রমাণিত হয় কলেজে অধ্যক্ষ মীর্জা নুরুজ্জামান হলেও আওয়ামী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কলেজের সকল বিষয়ে ছড়ি ঘোরাতেন খান রওশন আলী। পরবর্তীতে তিনি এ দুর্ণীতির নিয়োগের মধ্য দিয়ে কলেজের উপাধ্যক্ষ নিয়োগও করিয়েছেন। যে নিয়োগগুলো ছিল অনিয়ম ও দুর্ণীতিগ্রস্থ। আর তার এ সকল অনৈতিক কাজে শক্তি যুগিয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কলেজটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি খান নজরুল ইসলাম। পরোক্ষভাবে শক্তির যোগান দিয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী।
(৩) কলেজের সীমানা প্রাচীর তৈরীর সিদ্ধান্তে কলেজ ক্যাম্পাসের ৩ লাখ টাকার মেহগুনী গাছ বিক্রি করা কলেও একটি কানা কড়িও কলেজের কাজে ব্যয় করা হয়নি।
(৪) উক্ত টাকা আত্নসাৎসহ নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতি করার জন্য ব্যাংকিং লেনদেন কমিটি নিজেদের মত করিয়েছে এবং কমিটি থেকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
(৫) অধ্যক্ষসহ জিবির আরো দুই সদস্যকে নিয়ে সাবেক উপাধ্যক্ষ মোটা অংকের টাকা বাগে পেয়ে মনের আনন্দে ৪ টি দেশও ভ্রমণ করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কলেজের এ সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির ওপর ভর করে কলেজটি সরকারি হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ মীর্জা নুরুজ্জামান ও উপাধ্যক্ষ খান রওশন আলী কলেজেকৃত নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারতা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্নসাতের মত অভিযোগ ও তদন্ত কমিটি সকল অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ার পরও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা বুঝে নিয়ে অবাধে কলেজ থেকে অবসরে গেছেন এমনি অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অজ্ঞাত কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী, কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীসহ সকলমহল। সকল প্রশাসনের এই নিরবতা সকল মহলকে শুধু অবাকই করেনি হতবাক করেছে ঢের। এ ব্যাপারে আশু তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন এ জনপদের সকলমহল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.