আদমদীঘিতে প্রতারণার শিকার ১২জন দরিদ্র ভাতাভোগি ফিরিয়ে পেলেন হারানো টাকা

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘিতে সরকার প্রদত্ত দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ ১২জন দরিদ্র ভাতাভোগিদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কৌশলে হাতিয়ে নেয়া ৮১ হাজার টাকা অবশেষে ফেরত পেলেন ভাতাভোগি নারী পুরুষগন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির কালাইকুড়ি গ্রামে জিএম এ্যাকোয়া কালচার মৎস্য খামারে এলাকাবাসির উপস্থিতিতে এক বৈঠকের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমান টাকা ফেরতের এমন মহতী উদ্যোগ নিলেন আদমদীঘি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদার।
প্রতারণার শিকারের মধ্যে কোমারভোগ গ্রামের আসাদুলের ৬ হাজার টাকা, একই গ্রামের কাফেলার ৪ হজার, রিমন বিবির ৫ হাজার, রোকেয়া বিবির ৫হাজার, রাকিয়া বিবির ৩০০, মাজেদা বিবির ৬ হাজার, আদরীর ৮ হাজার, বাকির ৬ হাজার, জসিমের ৪ হাজার ৪০০, মোজাফ্ফরের ১১ হাজার ৫০০ টাকা, মাবিয়ার ৪ হাজার ও চানতারার ৪ হাজার টাকা রয়েছে।
প্রাপ্ততথ্যে জানাযায়, বিগত সরকারের আমলে আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের দরিদ্র্র জনগোষ্ঠিকে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদান করা হয়। এরমধ্যে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কোমারভোগ গ্রামের একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীসহ ১২জন নারী ও পুরুষকে সরকারি ভাতা প্রদান করা হয়। তাদের প্রথম কিস্তির টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রদান করা হলে ওই গ্রামের জনৈক আব্দুল করিম ও মন্টু হোসেন নামের দুই ব্যক্তি কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে ১২জনের ৮০ হাজার ৯০০ টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর থেকে পরের কিস্তির টাকা যথাযথ ভাবে ভাতাভোগিরা পেয়ে আসছেন। এদিকে প্রথম কিস্তির টাকা প্রতারণার মাধ্যমে দুই ব্যক্তি উত্তোলন করে আত্মসাতের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে প্রতারণার শিকার ওই দরিদ্র ১২জন ভাতাভোগি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিতের শরণাপন্ন হলে তিনি দুই পক্ষকে ডেকে বৈঠকের মাধ্যমে কৌশলে টাকা গ্রহনকারি ওই দুই ব্যক্তি তাদের ভুল স্বীকার করে টাকা ফেরতের অঙ্গিকার করে গতকাল রোববার তারা নিজেই ১২জন ভাতাভোগিকে ৮০ হাজার ৯০০ টাকা ফেরত দেন।
ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করেছে। টাকা হাতিয়ে নেয়া আব্দুল করিম ও মন্টু হোসেন বলেন, পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তারা এমন কাজ করেছেন।
আদমদীঘি উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি আব্দুল মহিত তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বাবু মিয়াসহ শতশত গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.