কেনিয়ায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে একটি বিমানবন্দর অধিগ্রহণ ও পরিচালনা করতে একটি নতুন কোম্পানি খুলেছে ভারতের আদানি গোষ্ঠী। কিন্তু বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি কেনিয়ার মানুষ। তার এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জেরর মুখে রয়েছে ভারত। প্রভাব বিস্তারে বল্গাহীন নানামুখী চেষ্টার কারণে দেশটির ক্ষমতাসীনরা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে বন্ধুহীন করে ফেলেছে। সেটা সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের ঘটনাবলি থেকে স্পষ্ট। প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে আফ্রিকার কেনিয়ায়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপির অন্যতম মিত্র গৌতম আদানির কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে কেনিয়া। নাইরোবির জোমো কেনিয়াত্তা বিমানবন্দর নিয়ে সম্প্রতি দেশটির কর্তৃপক্ষের সাথে একটা চুক্তি করেছে আদানি।
দুই পক্ষই বলছে, এই চুক্তি বিমানবন্দরের উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে করা হয়েছে। তবে কেনিয়ার সাধারণ মানুষ বলছে, এটা রাজনীতি প্রভাবিত অসম চুক্তি। গত ১৯ আগস্ট চুক্তি হওয়ার পর থেকে দেশটিতে আন্দোলনে নেমেছে জনগণ।
নাইরোবিতে জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অধিগ্রহণ করতে আদানি গোষ্ঠী সেখানে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি খুলেছে। কেনিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, এরপরই বিমানবন্দর কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশেষ করে প্রতিযোগিতামূলক পথ এড়িয়ে আদানি গোষ্ঠীকে বিমানবন্দরের কাজ দেয়ায় প্রশ্ন উঠছে বেশি। ৩০ বছরের মেয়াদে কেনিয়ার এই বিমানবন্দর পরিচালনা করতে চায় আদানি গোষ্ঠী।
চলতি বছরের শুরুতে তারা মোট ৭৫ কোটি ডলারের প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে আছে বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ, ট্যাক্সিওয়ে সংস্কার ও দুটি নতুন দ্রুতগতির ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ।
এসব প্রকল্প ২০২৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন করার প্রস্তাব রয়েছে। স্থানীয় অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে আদানি ৩০ বছর পর বিমানবন্দরের অনেকখানি স্বত্ত্ব পেয়ে যাবে।
আদানি গোষ্ঠীর হাতে বিমানবন্দর পরিচালনার ভার গেলে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে, এমন আশঙ্কায় গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) ধর্মঘট ডাকে দেশটির বিমান উড্ডয়ন পরিচালনাকারী কর্মী সংগঠন কেনিয়া এভিয়েশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন।
এমনিতেই তারা চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছে। তার ওপর এখন বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণভার আদানি গোষ্ঠীর হাতে গেলে তা হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।
কেনিয়ার উইলিয়াম রুটো সরকারের করনীতির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে দেশটির তরুণরা গণআন্দোলন শুরু করেছে। এবার তাদের সঙ্গে মিলে স্থানীয় নাগরিক সমাজ বিমানবন্দর চুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.