শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত ক্যাশিয়ার মানুষরূপী ভয়ঙ্কর গোলাপের দেশ-বিদেশে অঢেল সম্পদ

 

মাদারীপুর প্রতিনিধি: মানুষরূপী ভয়ঙ্কর এক গোলাপ ফুটেছিল মাদারীপুরে। সুগন্ধের লেশমাত্র ছিল না। উৎকট দুর্গন্ধে শ্বাস নেয়াই কষ্টকর ছিল মাদারিপুর-৩ আসনের সাধারণ মানুষের।
আবদুস সোবহান গোলাপের দখল, হামলা, মামলায় তটস্থ ছিলেন গোটা মাদারীপুরের জনগণ। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গোলাপ কামিয়েছেন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা। মিডিয়া দখল-সহ দেশ-বিদেশে গড়েছেন অঢেল বিত্ত-ভৈবব।
আবদুস সোবহান গোলাপ। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারি। স্বৈরাচারের বিশ্বস্ত ক্যাশিয়ার।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জায়গা পেয়েই ভয়ঙ্কয় হয়ে ওঠেন গোলাপ। অর্থের নেশা পেয়ে বসে তাকে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দু’হাতে কামান অর্থ। অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকার মালিক হন অল্প সময়ে। যার একটি একটি অংশ চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকা হাসিনা-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছে।
যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপেরও রয়েছে অঢেল সম্পত্তি। দেশটিতে ৯টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন তিনি। এছাড়া দুবাই, সিঙ্গাপুর, কানাডাতেও আবদুস সোবহান গোলাপ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে খবর আছে।
বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলমের ভাড়াটে হয়ে দেশের জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভশনও প্রায় ৮ বছর দখলে রাখেন আবদুস সোবহান গোলাপ। পুরস্কার হিসেবে গোলাপের স্ত্রী গুলশান আরাকে করা হয় একুশে টেলিভিশনের পরিচালক।
এদিকে, নিজ জেলা মাদারীপুরে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ সহকারি। জমি ও প্রতিষ্ঠান দখল, কমিশন বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ আত্মসাত, চাঁদাবাজি সবই করছেন নির্দয়ভাবে। 
গোলাপের অপকর্মের প্রতিবাদ করা যেত না। হামলা ও মামলার ভয়ে তটস্থ থাকতেন স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভয় দেখিয়ে সব জায়গা-জমি নিয়ে গেছে গোলাপ। কাঁচা ধানের জমিতে বালি ছেড়ে জমি দখল করেছে। 
কালকিনির উত্তর রমজানপুর ও চরদৌলত খাঁ মৌজায় একরের পর একর জমি দখল করেছেন গোলাপ। দখলি জমি ও বসতভিটায় নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে গড়েছেন একাধিক প্রতিষ্ঠান।
এছাড়া ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম নিজের নামে নামকরণ করেছেন তিনি। এ থেকে বাদ যায়নি মসজিদও। এলাকায় নির্মিত মসজিদও নিজ নামে নামকরণ করেছেন আবদুস সোবহান গোলাপ।
গোলাপের মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েও ঘোর আপত্তি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন বাদশা বলেন, “গোলাপ মিয়া যুদ্ধ করেছে এ খবর আমি জানিনা। আসলে সে মুক্তিযোদ্ধা কিনা তা জানা নেই।”
হাসিনার পতনের পর তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ ৫ ভুক্তভোগী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর মাদারীপুর প্রতিনিধি মো. এস আলম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.