বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানেও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা গণহত্যার সাত বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গত শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এসব কথা বলেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা ‘রিমেম্বারিং দ্য রোহিঙ্গা জেনেসাইড’ শীর্ষক বিবৃতিতে ব্লিনকেন বলেন, মিয়ানমারে চলমান মানবিক সংকট ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশটির অনেক জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যদের, বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সমস্যাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়াদের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের এবং মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও অঞ্চলটিতে সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানেও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য গত সাত বছরে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২৪০ কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাসহ সব বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে সংঘটিত নৃশংসতা ও নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করছে। একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য মিয়ানমারের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অটুট রয়েছে। একই সঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষায় সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংস দমন অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এর জেরে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.