খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত, গ্রামগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ সংকটে

 

খুলনা ব্যুরো: খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাইকগাছার কালিনগর রেখামারি বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম এবং দাকোপের পানখালীর খলিসায় বাঁধ ভেঙে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে এ গ্রামগুলোতে লক্ষাধিক মানুষ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। চিংড়িঘের, রোপা আমন ধান ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, পাইকগাছা ও দাকোপের বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে আটকানোর চেষ্টা সফল হয়নি। জোয়ারের পানির চাপ অতিমাত্রায় রয়েছে। এ কারণে বাঁশের খুঁটি দিয়েও মাটি আটকানো যাচ্ছে না। পাইকগাছার বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চোখের সামনেই সেখানে ভেঙে যায়। এরপর এলাকার পাঁচটি ওয়ার্ডের মসজিদ-মন্দিরের মাইক দিয়ে এ খবর প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করা হয়। যা সফল হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, কালীনগর গ্রামের পাশেই রয়েছে ভদ্রা নদী। দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে যায়। এ সময় ওই পোল্ডারের ভেতরে থাকা ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে।
প্লাবিত গ্রামগুলো হলো– কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই। এদিকে, দাকোপের খলিসা এলাকা কাজীবাছা নদীর তীরে। এ স্থানটিতে ৫০-৬০ হাত ভেঙেছে। ভাঙন বাড়ছে জোয়ারের চাপের কারণে।
ফলে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হচ্ছে, খলিসা, পানখালী, আনন্দনগর, ছোট চালনা, মৌখালী ও হোগলাবুনিয়া।
পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ রায় বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘১৩টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় সব চিংড়িঘের ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে, বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই খুব আতঙ্কে রয়েছে। গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে ২২ নম্বর পোল্ডারের গোপী পাগলা গ্রামের বাঁধ ভেঙে এই ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খুলনা-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর। ভদ্রা নদীর ৩০ মিটার ভেঙেছে। পানি আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২০০ বাঁশ এবং দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে কাজ চলমান আছে।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন এবং মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.