এক সপ্তাহ পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ

বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক সপ্তাহ পর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। ১২ আগস্ট সোমবার সকাল থেকে শহরের বিশ্বরোড, শান্তিমোড়সহ সব মোড়ে তারা দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন। তবে আজও রেডক্রিসেন্ট ও স্কাউটের পোশাকে পুলিশের সঙ্গে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক পুলিশ মাঠে নামায় তাদের স্বাগত জানিয়েছেন সবাই।
জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, অস্ত্র লুটপাট হয়। অনেক হতাহতের মধ্যে আতঙ্কে বেশিরভাগ থানা পুলিশ শূণ্য হয়ে পড়ে। রাস্তা-ঘাটে থেকেও চলে যান ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এতে সড়কে ভেঙে পড়া ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সামাল দিতে মাঠে নামে শিক্ষার্থীরা। তারাই গত কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এক সপ্তাহ পর আজ (সোমবার) মাঠে নেমেছে ট্রাফিক পুলিশ। বিশ্বরোড মোড়ে এক ট্রাফিক পুলিশ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সব মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। প্রথম দিনে তারা আমাদের উৎসাহ যুগিয়েছে। কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সবাই কাজ করছেন। সাধারণ মানুষও আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। এ দিকে ট্রাফিক পুলিশ মাঠে নামায় তাদের স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ৫/৬ দিন থেকে সড়কে কাজ করছি। আমরা প্রশিক্ষিত না হওয়ায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছিলো। ট্রাফিক পুলিশ নামায় আমরা খুশি। যাদের কাজ তাদেরই মানায়।
শান্তি মোড়ে এক পথচারী বলেন, পুলিশ উঠে যাওয়ায় বেশ সমস্যা তৈরি হয়েছিলো। শিক্ষার্থীরা হাল ধরলেও সেটা পর্যাপ্ত ছিলো না। সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নামায় শৃঙ্খলা ফিরবে। তাদের স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্বরোডে এক গাড়িচালক জানান, শিক্ষার্থীরা কড়াভাবে ট্রাফিক আইন ফলো করছিলো। তাদের কারণে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে গেছে। আশাকরি সেটি আবার চালু হবে না। ট্রাফিক বিভাগ জনবান্ধব হবে সেই প্রত্যাশা করছি। এদিন অন্যান্য দিনের চেয়ে সড়কে যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। রিকশা, অটোরিকশার পাশাপাশি বাস ট্রাকের সংখ্যাও বেড়েছে সড়কে।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) মোঃ হামিদুল ইসলাম সোমবার বিকেলে বলেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আমরা কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলাম। কিন্তু আমরা আজ সোমবার থেকে জেলা পুরোদমে কাজ করছি।
আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা জেলা সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষ আমাদের স্বাগত জানিয়েছে। আমরাও তাদের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে জনগণের সেবা করছি। জেলায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় আমরা খুশি। কোনরকম দুশ্চিন্তা আমাদের মাঝে নেই। আমরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করছি। তিনি আগামী দিনে সকলের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.