ইসলামপুরে দশানী নদী ভাঙ্গনে নিঃস্ব শতাধিক পরিবার, স্থায়ী বাঁধ নির্মানের দাবী

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরের গাইবান্ধা ইউনিয়নের ডাকপাড়া ও চন্দনপুর গ্রামের দশানী নদী ভাঙনে প্রতিনিয়তই বিলীন হচ্ছে বসতভিটা,রাস্তাঘাট,ফসলি জমি বিস্তীর্ণ এলাকা।
বিগত তিন বছর থেকে নদী ভাঙ্গনের ফলে শতাধিক ঘরবাড়ী ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ায় গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মান দীর্ঘদিনের দাবী এলাকাবাসীর।
বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলমান ব্যাপক ভাঙ্গনের ফলে প্রায় বিশটি বাড়ীসহ কয়েক শত শত একর ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্রতি নিয়তই নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভিটে মাটি হারিয়ে অনেকেই বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে।
এলাকাবাসী, আসাদুল হক দুলাল,গোলাপ সরকার, আঃ রহিম, লাল মিয়া,আশরাফুল ইসলাম, হাজী আব্দুল হাই, নুরনবী মিয়া, ছবুরন বেগম,আকলিমা বেগম বলেন, গত তিন বছর থেকে দুই শতাধিক বাড়িঘর, ঈদগাহ, মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
নদী ভাঙনের কারণে অনেকেই বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকার বস্তিতে আশ্রয় নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এভাবে চলতে থাকলে ডাকপাড়া, মরাবন, নতুন শাহ পাড়া, মালপাড়া, আর্দশ গ্রাম, চন্দনপুর, টুংরাপাড়া, নতুন শাহ পাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম অচিরেই বিলীন হয়ে যাবে। এতে হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমরা সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
ভাঙন রোধে এলাকাবাসী স্থায়ী বাঁধ নির্মানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি’র সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.