বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্ন সিনেমা দেখে নিজের এক বোনকে ধর্ষণ ও খুন, পরে মা এবং অপর দুই বড় বোনের সাহায্যে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। এমন এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী হলো ভারতের মধ্যপ্রদেশ।
স্থানীয় পুলিশ সুপার বিবেক সিং সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ এপ্রিল রাওয়া শহরের জাওয়া থানার সীমানায় নয় বছর বয়সী একটি মেয়েকে ধর্ষণ এবং শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। নিহতের মরদেহ তার বাড়ির উঠান থেকে উদ্ধার করেন তারা।
মামলা হওয়ার পর পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ওই বাড়িতে বাইরের কারো প্রবেশের কোনো চিহ্ন খুঁজে পায়নি এবং পরিবারও এ ধরনের কোনো দাবি করেনি। প্রযুক্তিগত প্রমাণ সংগ্রহ এবং ৫০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, পুলিশ দেখতে পেল পরিবারের সদস্যদের বিবৃতি বারবার পরিবর্তন হচ্ছে।
এতে সন্দেহ হলে তাদের নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মা এবং ১৭-১৮ বছর বয়সী দুই বড় বোন গোপনে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে সাহায্য করার কথা স্বীকার করে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ওই রাতে ১৩ বছর বয়সী ছেলেটি নিজের বোনের পাশে শুয়েছিল এবং সে তার মোবাইল ফোনে পর্ন দেখার পর বোনকে ধর্ষণ করেছিল। বোনটি বলেছিল সে বাবাকে সব বলে দেবে, এই হুমকির পর ছেলেটি তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সে তার মাকে ঘুম থেকে তুলে ঘটনাটি জানায়। কিন্তু তিনি মেয়েকে জীবিত দেখতে পান। এই পর্যায়ে ছেলেটি আবার তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ততক্ষণে তাদের অপর দুই বোন জেগে উঠে, তারা ভাইকে বাঁচাতে এবং তদন্তকে ভুল পথে পরিচালিত করার জন্য বিছানার জায়গা পরিবর্তন করে নেয়।
পরিবারের লোকজন একটি প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে মেয়েটির মরদেহ নিয়ে যায়। সেখানে মা দাবি করে, মেয়েটিকে একটি বিষাক্ত পোকা কামড়েছে। সেখান থেকে তাদের ফিরিয়ে দিলে তারা মরদেহটি একজন সরকারি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়, ওই ডাক্তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘ধর্ষণের পর হত্যা’ বলে চিহ্নিত করেন।
পুলিশ জানায়, ছেলে ও তার অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের আটক করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.