বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। শনিবার (৬ জুলাই) হামাসের একটি সিনিয়র সূত্র রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে।
গাজায় যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওই প্রস্তাবে চুক্তির প্রথম ইসরায়েলি সেনা ও পুরুষ জিম্মিদের মুক্তির কথা বলা হয়েছে। এই সম্মতির মাধ্যমে হামাস তাদের পূর্ববর্তী গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি থেকে সরে এসেছে।
এর আগে তারা দাবি করেছিল, যেকোনো চুক্তি স্বাক্ষরের আগে ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অঙ্গীকার করতে হবে। এখন তারা ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চালিয়ে যেতে রাজি বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাস সূত্র জানিয়েছে।
শান্তি প্রচেষ্টায় আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্রস্তাব যদি ইসরায়েল গ্রহণ করে তাহলে এটি একটি কাঠামোগত চুক্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। যা গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে।
ইসরায়েলি আলোচনা দলের একজন সূত্র শুক্রবার বলেছিলেন, বর্তমানে একটি চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে। যা ৯ মাসের যুদ্ধকালে ইসরায়েলের অবস্থানের বিপরীত। এর আগে ইসরায়েল বলেছিল হামাসের শর্তগুলো অগ্রহণযোগ্য।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মুখপাত্র মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি। শুক্রবার তার কার্যালয় বলেছিল, আলোচনা পরের সপ্তাহে অব্যাহত থাকবে এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর অবস্থানের পার্থক্য এখনও রয়ে গেছে।
হামাস সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপের সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য যতদিন পরোক্ষ আলোচনা চলবে ততদিন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ত্রাণ সরবরাহ ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা দিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।
গত কয়েক দিনে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা তীব্র হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটন, ইসরায়েল এবং কাতারের সক্রিয় কূটনীতি। কাতার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
একটি আঞ্চলিক সূত্র জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে একটি চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান কাতারে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে প্রাথমিক বৈঠক শেষে ফিরে এসেছেন। পরের সপ্তাহে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.