স্বামীর লাশের পাশে রাত কাটিয়ে সকালে অফিসে গেলেন স্ত্রী
বিটিসি নিউজ ডেস্ক: নিজের শাড়িতে ফাঁস দিয়ে স্বামীকে হত্যা করলেন অদিতি। তারপর সারারাত স্বামীর লাশের সঙ্গে কাটিয়ে সকালে বাসা থেকে বের হয়ে সোজা চলে গেলেন নিজের বাড়িতে। সেখান থেকে গোসল সেরে চলে গেলেন নিজের কর্মস্থল এয়ারপোর্টে।
বাড়ির মালিক শ্যামল মজুমদার বলেন, ওই ব্যক্তি একাই থাকতেন। হোম ডেলিভারিতে খাবার আসত।
গতকাল বৃহস্পতিবার খাবার দিতে এসেছিল ডেলিভারি বয়। বার বার ডাকার পর প্রতুলের কোনও উত্তর না পাওয়ায় তিনি শ্যামল বাবুকে ডাকেন। তিনি এসে দেখেন দরজা ভেতর থেকে আটকানো নয়। তারা দরজা ঠেলে ঢুকে দেখেন, প্রতুলের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে বিছানায়। গলায় শাড়ির ফাঁস।
তদন্তে নেমে প্রথমেই পুলিশ আটক করে বাড়ির মালিক শ্যামলকে। জানা যায় অমিতাভ রায়চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে শ্যামলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতুলের। কিন্তু প্রথমেই তদন্তে হোঁচট খেতে হয় পুলিশকে। এক তদন্তকারী বলেন,নিহত ব্যক্তির নাম এবং গুরুগ্রাম ছাড়া আমাদের কাছে কোনও তথ্য ছিল না। সেই অবস্থায় সামান্য আলোর দেখা পান গোয়েন্দারা।
বিকেলেই পুলিশ বাগুইআটির ওই হোটেলে যায়। সেখানে প্রতুল আধার কার্ডের ফটোকপি দিয়েছিলেন। সেখান থেকে কাশীপুরের একটি ঠিকানা পান তদন্তকারীরা। সেই ঠিকানায় গিয়ে পুলিশ জানতে পারেন অদিতি চক্রবর্তীর কথা।
আজ শুক্রবার অদিতিকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.