বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইতালিতে কাজ করতে গেলে ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত বলে মনে করেন দেশটির কৃষি ও প্রবাসী মহল। শ্রমিকদের ভাষা ও যোগ্যতার ঘাটতিই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি নেতারা।
আগামী তিন বছরের জন্য প্রায় পাঁচ লাখ বিদেশি শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। ২০২৬ সাল থেকে ধাপে ধাপে প্রতি বছর আরও বেশি সংখ্যক শ্রমিককে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। বিশেষ করে কৃষিখাতের মৌসুমী কর্মীর চাহিদা মেটাতে কোটা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।
তবে, ইতালির কৃষক সংস্থার প্রেসিডেন্টের মতে, শুধু সংখ্যা বাড়ানো নয়, প্রয়োজন যোগ্য ও ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন শ্রমিক। তার দাবি, ভাষার সীমাবদ্ধতা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের ঘাটতি কাজের মান এবং নিরাপত্তা, দুটোকেই প্রভাবিত করছে। তাই বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও উত্তর আফ্রিকার শ্রমিকদের ইতালিতে আসার আগে ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক করা দরকার বলে মত দেন তিনি।
বিদেশি শ্রমিকদের কাছে ইতালিয়ান ভাষা শেখা শুধু কথা বলার জন্য নয়, বরং চুক্তিপত্র, বেতন, কাজের শর্তাবলী এবং আইনগত বিষয়গুলো নিজে বুঝে নেয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
অন্যদিকে, শ্রমিকদের দাবি, প্রথমে ন্যায্য মজুরি, মানবিক আবাসন ও শোষণমুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা হোক। তাদের মতে, মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত না হলে কোটার সম্প্রসারণ তেমন ফল দেবে না।
এছাড়াও, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই কাজ পেতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা একটি বড় বাধা। এ জন্য ‘ভাউচার’ বা কাজের কুপন পদ্ধতি পুনরায় চালুর আহ্বান জানিয়েছেন কৃষক সংস্থার প্রেসিডেন্ট। তার মতে, এই পদ্ধতি শ্রমবাজারে নমনীয়তা আনবে, আমলাতান্ত্রিক চাপ কমাবে এবং কর-বীমা প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করবে। #

















