দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রচার প্রচারণায় সরব হয়ে উঠেছে

বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনা জেলার ৩টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য মোল্লা আকরাম হোসেন।

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ৪ জন। ৪ জন প্রার্থী হলেন শেখ মারুফুল ইসলাম প্রতীক আনারস, দোয়াত-কলম প্রতীকে দিঘলিয়ার সাবেক ৩ মেয়াদে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন, মোটর সাইকেল প্রতীকে রয়েছেন তরুন সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন ও স্টার জুট মিলের সাবেক শ্রমিক নেতা গাজী এনামুল হাচান মাসুম প্রতীক হেলিকপ্টার।
দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৪ জন হলেও নির্বাচনের মাঠে লড়াই হবে ত্রিমুখী। এরা হলেন দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন ও তরুন সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাকির হোসেন।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে ৩ জন প্রার্থীর মধ্যে এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ভোটাররা।
ইতোমধ্যে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ গরম করতে সরব হয়েছেন প্রচার ও প্রচারণার মাঠে। কি জনগণকে দিয়েছে এবং নির্বাচিত হতে পারলে কি দেবেন কি করবেন মহল্লায় মহল্লায় মিটিং, উঠান বৈঠক ও মাইকে উন্নয়নের অঙ্গীকার নামা প্রচার করছেন। প্রার্থীর পক্ষে রকমারী গানও প্রচারিত হচ্ছে।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতিসহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ মল্লিক মহিউদ্দিনের পক্ষে সরাসরি নেমেছেন ভোটের মাঠে।
তিনি তার বক্তব্যে বলেছেন, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদকে দুর্ণীতিমুক্ত করতে, দিঘলিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত ও মজবুত অবস্থান সৃষ্টিতে ও দিঘলিয়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মজবুত, টেকসই ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠার জন্য সৎ নেতা নির্বাচনের বিকল্প নেই।
তিনি দুর্নীতিমুক্ত দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ গঠনে সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নে লালিত সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে মজবুত ও বলিষ্ঠ করার লক্ষে আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মল্লিক মহিউদ্দিনের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ সকল ভোটারদের ভোটের ময়দানে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে দিঘলিয়ার সচেতন রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্বসহ সাধারণ ভোটারদের মাঝে শক্ত নিরোপেক্ষ মেরুকরণের দিকে অতি গোপনে তৎপর ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল দল মতের উর্ধ্বে থেকে উক্ত মহলের সমর্থন যারদিকে যাবে আগামীদিনের দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের চালকের আসনে তিনিই বসবেন এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়ার বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা।
এদিকে দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিলেও এ পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দ্বিমুখী এবং সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদন্দিতা হবে দিমুখী এমনটা জানিয়েছেন ভোটাররা।দিঘলিয়া উপজেলাটি মোট ৬ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
দিঘলিয়া উপজেলা খুলনা শহরের উত্তর পশ্চিম কোল ঘেষে দুইটি ইউনিয়ন আড়ংঘাটা ও যোগীপোল ইউনিয়নের অবস্থান। ভৈরব, আতাই ও আতাই ও মজুদখালী নদী দ্বারা খুলনা জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন ও বেষ্টিত একটা দিপাঞ্চল নিয়ে বারাকপুর, দিঘলিয়া ও সেনহাটি ইউনিয়নের অবস্থান।
ভৈরব ও আতাই নদী দ্বারা খুলনা জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন, দিঘলিয়া উপজেলার উত্তর-পূর্ব কোণে দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ইউনিয়নটির অবস্থান। এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৫ হাজার ৫৫১ জন এবং মহিলা ভোটার ৬৫ হাজার ১৯৭ জন।
১ নং গাজীরহাট ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৮৩ জন, ২ নং বারাকপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৭৫২ জন, ৩ নং দিঘলিয়া ইউনিয়নে ২৬ হাজার ৭৩৯ জন, ৪ নং সেনহাটি ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ৩৫ হাজার ৪৯৯ জন, ৫ নং আড়ংঘাটা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৬০৩ জন ও যোগীপোল ইউনিয়নে ২১ হাজার ১৭২ জন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.