গুরুতর অভিযোগ নিয়ে আদালতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

 

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজ দেশের সেনাবাহিনীর বিরোধিতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা। নির্বাচন কমিশনের বাধার কারণে পিটিআইয়ের ব্যানারে নির্বাচন করতে পারেননি তারা। তবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে রীতিমতো চমক দেখিয়েছে দলটি।
তবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নাটকীয়তার যেন শেষ নেই। সেখানে ক্ষণে ক্ষণে বদলাচ্ছে রাজনীতির সমীকরণ। বর্তমানে দেশটিতে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও সরকার গঠন করতে পারছেন না ইমরান খান। আর তাই নওয়াজের বিরুদ্ধে এবার আদালতে গিয়েছে ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ নেতা নওয়াজ শরিফ কারচুপি করে নির্বাচনে জিতেছেন- এমন অভিযোগ করে শনিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইমরান খানের দল পিটিআই। এ ছাড়া নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছেন ইমরান সমর্থকরা।
নওয়াজের আসনে তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করা পিটিআইয়ের কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আদালতে আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, ফরম-৪৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ হেরেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ফরম-৪৭ এ তাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা লাহোর হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেন।
ফরম-৪৫ হল পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রের আলাদা ফলাফল। ফরম-৪৫ এর ফল সব কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করার পর ফরম-৪৭ এর মাধ্যমে একটি আসনের পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
৭৪ বছর বয়সী নওয়াজ শরিফ জাতীয় পরিষদের ১৩০ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, এক লাখ ৭২ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআইয়ের ইয়াসমিন রশিদ এক লাখ ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন। তবে প্রাথমিক ফলাফলে ইয়াসমিন রশিদ এগিয়ে ছিলেন। নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা ইয়াসমিন রশিদ আদালতে অভিযোগ করে বলেছেন, অন্যায়ভাবে নির্বাচন কমিশন নওয়াজকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
অপরদিকে, মরিয়ম নওয়াজ জয় পেয়েছেন জাতীয় পরিষদের ১১৯ নম্বর আসন থেকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, তিনি ৮৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক শাহজাদ ভোট পেয়েছেন ৬৮ হাজারের বেশি।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ঠিক একই অভিযোগ করেছেন মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা ফারুক শাহজাদও। এ ছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশির মেয়েও তার পরাজয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.