নাটোরে দুলুর বাড়িতে হামলা ভাংচুর আগুন ফুটেজ সহ মামলা : সাতদিনে আটক হয়নি কেউ

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বাড়িতে এক সপ্তাহ আগে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ সহ একটি মামলা এবং বিভিন্ন সময়ে নেতাকর্মীদের মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়া ও চাঁদাবাজীর পৃথক আরও তিনটি মামলা হলেও এখনও আটক হয়নি কেউ। পুলিশ বলছে তদন্ত চলছে।

নাটোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বিটিসি নিউজকে জানান, গত শনিবার সন্ধ্যায় নাটোরে জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলুর বাড়ির নীচতলায় জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে হামলা চালিয়ে একটি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ ও দুইটি মোটর সাইকেলে ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা এসে আগুন নেভায় এবং নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ঘটনার পর পরই জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ শাহরিয়াজ এর নির্দেশে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সাইদুজ্জামান এবং নাটোর সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে যান।

পরদিন রোববার নাটোরে জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দস তালুকদার দুলুর ভাতিজা ও নাটোর জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম এবং সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, জাহিদুর রহমান জাহিদ, জামিল হোসেন মিলন, সবুজ, মোহন, মিঠুন, কালিয়া, রনি, বাপ্পি, মাহাবুব, রানা ও লুটুর নাম উল্লেখ সহ আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে হামলার সময় তারা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়েই হামলা করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশের কাছে বাদীর পক্ষ থেকে ঘটনার সময়ে ধারণকৃত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সরবরাহ করা হয়েছে। মামলার সাতদিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত আসামীদের কাউকেই আটক করা হয়নি। এদিকে জেলা যুবদলের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রওশন আলীকে কাঠাল বাড়িয়ায় মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে তার কাছে থাকা একটি দামী মোবাইল সেট সহ মোটর সাইকেল এবং পিপরুল ইউনিয়নের বিএনপি কর্মী জহুরুল মেম্বারকে মারধর করে তার কাছে থাকা মোটর সাইকেলটি ছিনিয়ে নেয়া হয়।

এছাড়াও বিএনপি কর্মীদের কাছ থেকে আরও দু’টি মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়া হয়। নাটোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমিনুল হক বিটিসি নিউজকে জানান, মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়া ছাড়াও সরকার দলীয় লোকজন বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে জোর করে চাঁদা আদায় করছে। এসব ঘটনায় প্রাণ ভয়ে সবাই মামলা না করলেও এস এম রওশন আলী, মাহবুবুর রহমান ও মোছাঃ নুরুন্নাহার বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছেন। এব্যাপারে নাটোর সদর থানার

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন বিটিসি নিউজকে জানান, এজাহার করার পর থেকে তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.