প্রেমাদাসা জুজু কি কাটাবে বাংলাদেশের?

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লঙ্কানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারতে হয়েছে পাকিস্তানের কাছে। আর তাতেই চলতি টুর্নামেন্টে আরও একবার খাঁদের কিনারায় চলে গেছে টিম টাইগার্স। অবস্থাটা এমন দাঁড়িয়েছে যে হারলেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে।
কলোম্বের প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
ঐতিহ্যগতভাবেই প্রেমাদাসার উইকেটে স্পিনাররা বেশি সুবিধা পান। এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ দশ উইকেটশিকারীর ভেতর কেবল তিনজন পেসার। আর সে কারণে এখানে পেসারদের দাপট দেখানোর জায়গা নেই এমনটা বললে ভুল খুব একটা হবে না।
স্পিনবান্ধব হওয়ার পাশাপাশি প্রেমাদাসার সুনাম রয়েছে ব্যাটিংবান্ধব উইকেট হিসেবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধীর হয়ে যায় এই উইকেট। সে সময় রান তোলাটা কষ্টকর হয়ে যায় ব্যাটারদের পক্ষে। পরিসংখ্যান বলছে প্রেমাদাসার স্লো আর লো উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করা রানের গড় ২৩২। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১।
সে কারণে টসে জিতে ব্যাটিং নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
জয়ের পরিসংখ্যানটা দেখলেও পাল্লা ভারি আগে ব্যাটিং করা দলের। এখন পর্যন্ত প্রেমাদাসায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৫৫টি ওয়ানডে। এর ভেতর আগে ব্যাট করে জয় এসেছে ৮৪ ম্যাচে। বিপরীতে পরে ব্যাট করে জয়ের নজির আছে ৬১টি ম্যাচে।
ব্যাটিংবান্ধব প্রেমাদাসা ৩০০ বা ততোধীক রানের সাক্ষী হয়েছে কেবল ২৩টি ম্যাচে। এর ভেতর ২০১৫ সালের পর কেবল ৫টি ম্যাচে দলীয় সংগ্রহ গিয়েছে ৩০০ এর উপরে।
এই ভেন্যুর উইকেটের কথা চিন্তা করলে টাইগাররা তাদের একাদশে একজন বেশি স্পিনার নিয়ে নামলে কিছুটা সুবিধা বেশি পাবে।
তবে এর ভেতর দুঃসংবাদও আছে সাকিবদের জন্য। কেননা প্রেমাদাসায় বাংলাদেশের ইতিহাসটা খুব একটা সুখকর নয়। এখন পর্যন্ত এই ভেন্যুতে ১১টি ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এর ভেতর একটি ম্যাচেও জয়ের দেখা মেলেনি টাইগারদের। সবগুলো ম্যাচেই হারকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এছাড়া বাংলাদেশের গ্রুপ পর্বে লঙ্কানদের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের স্মৃতিটা এখনও মলিন হয়ে যেতে পারেনি। ক্ষতটা এখনও দগদগে।
সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাচে বৃষ্টির বাগড়া দেয়ার প্রবল সম্ভাবনা। আর এই বৃষ্টি আঘাত হানতে পারে টসের আগেই। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী বেলা ৩টায় হবে টস। আর সে সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭৮ শতাংশ। সময়ের সাথে সাথে সেই সম্ভাবনা বেড়ে ৯০ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।
এমন সব প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টাইগাররা মুখোমুখি হবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার। এখন দেখার বিষয় টাইগারদের পক্ষে কি কাটানো সম্ভব হয় প্রেমাদাসা জুজু নাকি আরও একটি হারের মুখ দেখেই এশিয়া কাপের মিশন শেষ করতে হবে টাইগারদের। টাইগারদের ভাগ্যে কি আছে সেটি বলে দেবে সময়ই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.