রূপকথার রূপকার মরক্কো

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলাই যাদের জন্য অনেক বড় অর্জন, তারাই ইতিহাস গড়ল। এক পা, দুই পা করে এগোতে এগোতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আফ্রো-আরবিয় দেশ মরক্কো।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই রঙ ছড়াচ্ছিল মরক্কো, সবশেষ পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারিয়ে যেন আফ্রিকান রূপকথার রূপকারের তকমা পেল ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের শিষ্যরা। এই জয় মরক্কোকে ফুটবল ইতিহাসে স্থায়ীভাবে জায়গা করে দিয়েছে। কারণ প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো মরক্কানরা।
পর্তুগালের সাথে এই ম্যাচে দারুণ পায়ের কাজ দেখান সোফিয়ান বোফাল। মার্কোস ইয়োরেন্তেকে পরাস্ত করে উইং দিয়ে বল টেনে যোগান দেন নিঁখুত এক ক্রস।
হাকিমি-সোফিয়ানে বোফালদের জয় উদযাপনেও ছিল ভিন্নতা। কেউ সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে লুটিয়ে পড়ছেন সিজদায়। কেউবা টি-শার্ট খুলে ঘুরিয়ে মেরেছেন উপরে। এরই মধ্যে সবার চোখ আটকে যায় সোফিয়ান বোফালের দিকে। কেননা তিনি জয় উদযাপন করেছেন মায়ের সঙ্গে নেচে।
১৯৫৭ সালে মরক্কো প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা শুরু করে। তবে ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত ফিফা বিশ্ব র্যা ঙ্কিংয়ে দেশটি ইতিহাসে প্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (১০ম) অর্জন করে।
আর এবারে কাতার বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত আফ্রিকান দল হিসাবে সেমিফাইনালে গিয়ে একরকম ফাইনালের স্বাদই নিল দেশটি।
এর আগে আফ্রিকান দলগুলো বড়জোর কোয়ার্টার পর্যন্ত খেলতে পেরেছিল। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ক্যামেরুন, ২০০২ বিশ্বকাপে সেনেগাল এবং ২০১০ বিশ্বকাপে ঘানা শেষ আট থেকে বিদায় নিয়েছিল। কিন্তু মরক্কো তাদের সবার কীর্তিকে ছাড়িয়ে গেল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.