বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার ষড়যন্ত্র করে সাধারণ চাউল (নন বাসমতি) এর ঘোষণা দিয়েউচ্চ মুল্যের ‘বাসমতি’ চাউল আমদানী করার অভিযোগে স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় ২টি ট্রাকের ৮৪ মে. টন চাউল আটক করেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জব্দকৃত চাউল ‘বাসমতি’-পরীক্ষার পর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে এসব অবৈধ কাজের সাথে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের অসাধূ কিছু আমদানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং কাস্টমস এর কিছু অসাধূ কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের চোখে ফাঁকি দিয়ে এরকমভাবে শুল্ক ফাঁকি দেয়া, এক পণ্য নিয়ে এসে, অন্য পণ্যের ট্যাক্স দিয়ে পণ্য খালাসের মত অবৈধ কার্যক্রম সংঘটিত হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।
তাদের দাবী, এসব অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত আমদানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, স্থলবন্দরের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ ও সংঘবন্ধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর কে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার।
তবে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তথ্য গোপন করে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার হীন উদ্যেশ্যে নিয়ে আসা ৮০ মে.টন বাসমতি চাউল জব্দ করে রাখা হয়েছে এবং পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে এই অবৈধভাবে চাউল আমদানীর কারণে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সতর্ক দৃষ্টি রেখেই সকল কার্যক্রম পরিচালান করছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ১৩.০০.০০০০.০০০.০৪৪.০৭.০০১৭.২৫.২৩৫ নম্বর স্মারকে গত ১০ আগষ্ট/২৫ তারিখে বেসরকারী পর্যায়ে সিদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানীর জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করে ১৪২ নম্বর সিরিয়ালে ৫০০ মে.টন চাল- ‘এম রহমান অটো রাইস মিল, জামতলা, আমনুরা রোড, নয়াগোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কে।
প্রেক্ষিতে উক্ত বরাদ্দের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মহাদীপুর-সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে UP-১৭AT-৪৫৩০ ও PBUDK-৮৫৬৩ নং ভারতীয় ট্রাকে ‘শশী ট্রেডার্স’ নামে সিএনএফ এজেন্টের মাধম্যে ‘এম রহমান অটো রাইস মিল, জামতলা, আমনুরা রোড, নয়াগোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নন বাসমতি চাউল এর ঘোষণা দিয়ে ‘বাসমতি’ চাউল আমদানী করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছিলো।
আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমদানী করে আনাচাউল পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ভিরত প্রবেশ করে। কিন্তু সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে আমদানীকৃত চাউল ট্রাক আনলোড করে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ৫ নং গোডাউনে রাখেন।
পরবর্তীতে সিএন্ডএফ ও আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাধা দিলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য চাউল ল্যাবে টেষ্টের জন্য পাঠান। ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পরে সত্য তথ্য প্রকাশ করে ল্যাব ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। যা শতভাগ বাসমতি চাউল প্রমাণিত হয়েছে।
এদিকে, অবৈধভাবে আনা বাসমতি চাল ছাড় করিয়ে নেয়ার জন্য আমদানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, এবং স্থলবন্দরের অসাধু নেতৃবৃন্দ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
অবশেষে পরীক্ষার পর আমদানী করা চাউল বাসমতি বলে প্রমানিত হওয়ায় চাউলগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আটক রাখা হয়েছে। এব্যাপারে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একটি সুত্র জানায়, এই ৮৪ মে.টন চাউল মিথ্যা তথ্য দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে পারলে এই অসাধু চক্রটি সরকারকে প্রায় ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিত এবং এই অর্থ ওই চক্রের মাঝে ভাগ বাটোয়ার হতো।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিটিসি নিউজকে জানান, ‘শশী ট্রেডার্স’ নামে সিএনএফ এজেন্টের মাধম্যে জাহাঙ্গীর নামের একজন সিএন্ডএফ এজেন্ট ‘এম রহমান অটো রাইস মিল, জামতলা, আমনুরা রোড, নয়াগোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নন বাসমতি চাউল এর ঘোষণা দিয়ে ‘বাসমতি’ চাউল আমদানী করে এবং রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছিলো। অবৈধভাবে বাসমতি চাল আমদানির অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর ওই প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ মেট্রিক টন চাল জব্দ করে সোনামসজিদ কাস্টমস।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েটে চালের নমুনা পাঠিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে জব্দ করা চাউলগুলো ‘বাসমতি’।
‘শশী ট্রেডার্স’ এর প্রতিনিধি হিসেবে মোঃ জাহাঙ্গীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার ওমর মবিন।
তিনি আরও বলেন, বাসমতি চাউলগুলোর রাজস্ব প্রায় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। নন বাসমতি চালের রাজস্ব ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা মাত্র। কোনভাবে চাউলগুলো ছাড় হয়ে গেলে প্রায় ১ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব থেকে সরকার বঞ্চিত হতো। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আসলে চালগুলো বাসমতি ছিল। বাসমতি চাল আমদানিতে শর্তসাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠান কাস্টমসের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাধারণ চাল বলে বাসমতি চাল আমদানি করেছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারীতে সেটা রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এক প্রশ্নে তিনি বলেন, এই অবৈধ চাউল আমদানীর জন্য বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
তিনি আরও জানান, সংশ্লিষ্ট চাউল আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান যদি খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় কাছ থেকে কোকভাবে প্রয়োজনীয় সরকারী নীতি মোতাবেক শুল্ক দিয়ে চাউলগুলো ছাড় করতে পারে, তাহলে ১ কোটি ৪৪ লক্ষা দিয়ে ছাড় করতে হবে।
তিনি বলেন, তবে এটা সম্ভব না হওয়ারই কথা, কারণে বাসমতি চাউল আমদানীর কোন আদেশই দেননি খাদ্য মন্ত্রণালয়। কোন অসাধূ চক্র স্থলবন্দরে কোন অবৈধ কার্যক্রম চালাকে পারবে না উল্লখ করে তিনি বলেন সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় সোনামসজিদ স্থলবন্দর কে পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
অন্যদিকে, সিএন্ডএফ এজেন্ট ‘শশী ট্রেডার্স’ এর প্রতিনিধি হিসেবে মোঃ জাহাঙ্গীরের নাম পাওয়া গেলেও মোঃ জাহাঙ্গীর বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, আমি প্রায় ১৫ বছর আগে ‘শশী টেডার্স’ এর লাইসেন্স এ কাজ করতাম। তারপর ইউসুফসহ আরও কয়েকজন কে অথরাইজেশন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, আমি অনেক আগেই সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কার্যক্রম ছেড়ে দিয়েছে। আমি এসবের মধ্যে জড়িত নই। কেউ আমাকে জড়িয়ে তথ্য দিয়ে থাকলে সেবা মিথ্যা ও বানোয়াট।
তবে এব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য রাজশাহী কাস্টমস, লাইসেন্স শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত, মোঃ আরিফ হোসেনর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অফিসের বাইরে থাকায় সকল তথ্য দেয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সম্ভবত বর্তমানে ইউসুফ নামে একজন শশী ট্রেডার্স এর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এদিকে, ‘শশী ট্রেডার্স’ এর স্বত্বাধিকারী ওয়াহেদ মুরাদ এর সাথে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার ষড়যন্ত্র করে সাধারণ চাউল (নন বাসমতি) এর ঘোষণা দিয়ে উচ্চ মুল্যের ‘বাসমতি’ চাউল আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান ‘এম রহমান অটো রাইস মিল, জামতলা, আমনুরা রোড, নয়াগোলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, এর প্রকৃত স্বত্বাধিকারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। সদর উপজেলার জামতলায় ‘বাসোরী অটো রাইস মিলের বিপরিতে অবস্থিত ‘এম রহমান অটো রাইস মিল এর প্রকৃত স্বত্বাধিকারী মোঃ মতিউর রহমান।
‘শশী টেডার্স’ এর সিএন্ডএফ এজেন্ট এর স্বত্বাধিকারী ওয়াহেদ মুরাদ এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, একটি বিশেষ সুত্র জানায়, সিএন্ডএফ এজেন্ট এর স্বত্বাধিকারী ওয়াহেদ মুরাদ এর ‘শশী টেডার্স’ এর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে কাসটমস কর্তৃক কোন ‘সাইনিং অথারিটি’ নেই। বিধায় এখানেও একটি প্রতারণা বা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এই বাসমতি চাল আমদানী ও খালাসের চেষ্টা করা হয়।
নন বাসমতি চাউল এর ঘোষণা দিয়ে ‘বাসমতি’ চাউল আমদানীর বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এ্যাসেসিয়েশনের সাবেক এক নেতা বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এধরণের কিছু অসাধূ আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যেই পণ্য আমদানী করছেন। যা, রীতিমত আইনগত অপরাধ এবং সরকারকে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার উদ্যেশ্য।
সম্প্রতি জেলারই একটি প্রতিষ্ঠান ‘এম রহমান অটো রাইস মিল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নন বাসমতি চাউল এর ঘোষণা দিয়ে ‘বাসমতি’ চাউল আমদানী করেছে এবং রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু সোনামসজিদ কাস্টমস বিষয়টি জানতে পেরে চাউলগুলো জব্দ করে এবং পানামা’র গোডাউনে গুদামজাত করে রাখে। পরে চাউলগুলো টেষ্টের জন্য পাঠালে টেস্টে অবৈধভাবে আমদানী করা চাউল ‘বাসমতি’ হিসেবে প্রমান হয়।
ফলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে এধরণের অবৈধ কার্যক্রম সংঘটিত হওয়ায় সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চি হচ্ছে, অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর এর সুমান ক্ষুন্ন হচ্ছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বৈধভাবে করা ব্যবসায়ীদেরও ক্ষতি হচ্ছে, নানা প্রশ্নেরও সম্মুখিন হচ্ছেন।
অন্যদিকে, এধণের অবৈধ কার্যক্রম (যেমন-কমদামী পণ্যের ঘোষণা দিয়ে, বেশী শুল্কের পণ্য আমদানী বা এক পণ্য নিয়ে এসে অন্য পণ্যের ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে পণ্য খালাসের ঘটনাও ঘটেছে, এমন অভিযোগও রয়েছে। কাজের সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সুমান ধরে রাখতে এসব অসাধূ আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ সোনামসজিদ সিএন্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের বৈধভাবে নির্বাচিত কমিটি না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ পাচ্ছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীও করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন বিটিসি নিউজকে বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের হয়রানী করছেন। আমরা কখনো মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোন পণ্য আমদানী করি না বরং আমদানীর করার ক্ষেত্রে সঠিক তথ্য ও বন্দর নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবসা করে আসছি।তিনি আরো বলেন, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সাধারণ চাউলকে বাসমতি চাউল বলে সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের হয়রানীর করার জন্য ল্যাবে পরীক্ষা নামক শব্দ ব্যবহার করেন।
পরীক্ষায় জব্দকৃত চাউল ‘বসমতি’-এমন প্রশ্নে কিছুটা উদ্বেগিত হয়ে তিনি আরও বলেন, যদি কোন আমদানীকারক মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে এবং অবৈধ কাজ করে থাকেন, তাহলে সেই আমদানীকারক ও জড়িত সিএন্ডএফ এজেন্ট এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত আমদানীকারক ও জড়িত সিএন্ডএফ এজেন্ট কোন স্থলবন্দর দিয়েই আর কোন আমদানী করতে পারবে না।
এব্যাপারে জানতে আমদানী-রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একরামুল হক এর সাথে অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। #















