নাটোর প্রতিনিধি:১১ বছরের শিশু রাবেয়া বসরী মহুয়া। এ বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে যার খেলার মাঠ দাপিয়ে বেড়ানোর কথা কিন্তু ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সার তাকে আটকে রেখেছে হাসপাতালের বিছানায়।
গত এক মাস যাবৎ সে ভারতের চেন্নাই এ্যপোলো ক্যান্সার ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধিন। সে নাটোর শহরের কানাইখালী মহল্লার রায়হান আলীর একমাত্র মেয়ে।
মহুয়ার পিতা রায়হান আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,নাটোর সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী মহুয়ার বছর খানেক আগে গলা ব্যথা দেখা দিলে চিকিৎসকরা টনসিল বলে সনাক্ত করে। যথারীতি অপারেশন ও করা হয়। কিছুদিন ভালো থাকার পর আবারো ও গলা ব্যাথা দেখা দেয় এবং আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়। প্রথমে রাজশাহী ও পরে ঢাকায় গিয়ে ডাক্তার দেখায় এবং একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারে তার শরীরে ক্যান্সার বাসা বেধেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে ডাক্তাররা বলেছেন, চিকিৎসার মাধ্যমে তার ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব। যত দ্রুত সম্ভব তাকে ভারতে পাঠানোর পরামর্শ দেন।ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা রায়হান আলী তার শেষ সম্বল বসতবাড়ির জমি বিক্রি করে মেয়েকে ভারতের চেন্নাই পাঠিয়েছেন গত একমাস আগে। তাকে মোট ছয়টি কেমো থেরাপি দেওয়ার প্রয়োজন। মহুয়াকে এখন পর্যন্ত দুটি কেমো দেওয়া হয়েছে। বাঁকি কেমো সহ চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্র বাবার পক্ষে আর মহুয়ার চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই একজন অসহায় পিতা তার আদরের ছোট মেয়েটির প্রাণ বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য কামনা করেছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.