চুয়াডাঙ্গাপ্রতিনিধি: প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ফেরা নিয়ে প্রেমিক মামুন মণ্ডলের সঙ্গে মনমালিন্যের জেরেই খুন হন জেসমিন খাতুন আয়না। শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক পান করিয়ে তাকে গলা কেটে খুন করেন মামুন।
আজ বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক। নিহতের ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মামুন মণ্ডলসহ ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে এসেছে হত্যাকাণ্ডের তথ্য।
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক বলেন, জেসমিন খাতুন আয়নার স্বামী কুয়েত প্রবাসী হওয়ার সুবাদে তার সঙ্গে প্রতিবেশী যুবক মামুন মণ্ডলের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে মামুন বিয়ের প্রস্তাব দেন আয়নাকে। কিন্তু তিনি বিয়েতে অস্বীকৃতি জানানোয় তাদের মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়। এরই মধ্যে আয়নার স্বামী হাবিবুর রহমান হাবিলের দেশে ফেরার খবরে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মামুন। এক পর্যায়ে আয়নাকে চেতনানাশক মিশ্রিত শরবত পান করিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আয়নার মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় ঘরে পড়ে ছিল। এ থেকে আমাদের সন্দেহ হয়- তাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘটনার একদিনের মধ্যেই জব্দ করা হয় রক্তমাখা ছুরি, চেতনানাশক মেশানো পানির গ্লাস, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল, হত্যাকারীর স্যান্ডেল ও লুঙ্গিসহ বিভিন্ন আলামত। এরই সূত্র ধরে তদন্ত চালানো হয়। গ্রেপ্তার করা হয় নিহতের পরকীয়া প্রেমিক মামুনকে।
উল্লেখ্য,গত মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন যাবদপুর গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে গতকাল বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের ভাই আব্দুর রউফ বাদী হয়ে বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.