BTC News | বিটিসি নিউজ

আজ- শনিবার, ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

আজ- ২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভূমিসেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে : সিনিয়র সচিব

ভূমিসেবা নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে : সিনিয়র সচিব

ঢাকা প্রতিনিধি: ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, এক সময় ভূমি অফিস মানেই ছিল দুর্ভোগ, হয়রানি ও জটিল প্রক্রিয়া। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সরকার ভূমিসেবা ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। আজ ভূমিসেবা সত্যিকার অর্থে নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে।

সালেহ আহমেদ বলেন, জনমনে ভূমি অফিস ও এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে নানাধরনের নেতিবাচক কথা হয়। আমরা চাই ইতিবাচক কাজের মাধ্যমে তা দূর করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগ প্রযুক্তির উন্নয়ন আজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে। ভূমি প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনাও এর ব্যতিক্রম নয়। একসময় ভূমিসেবা বলতে বুঝানো হতো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে কাগজপত্র যাচাই, দালালের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা এবং সাধারণ নাগরিকের জন্য দুরূহ প্রক্রিয়া। কালের বির্বতনে ভূমিসেবা এখন ডিজিটাইজড হয়ে গেছে, জনগণের ভোগান্তি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হচ্ছে।

সালেহ আহমেদ আরও বলেন, মানোন্নীত অটোমেটেড ভূমিসেবা শুধু প্রযুক্তিগত স্বয়ংক্রিয়তা নয়, বরং সেবার গুণগত মানের উন্নয়নও। এখন কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে, সেবা প্রদানে সময় কমেছে এবং দুর্নীতির সুযোগ অনেক কমে এসেছে। প্রতিটি ধাপে ডিজিটাল ট্র্যাকিং থাকায় নাগরিক জানতে পারেন তার আবেদন কোথায় আছে ও কে তা প্রক্রিয়া করছে। এর ফলে ভূমি প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।

সিনিয়র সচিব সালেহ আহমেদ বলেন, সামনে ভোট আসছে, ভোটে প্রশাসনের একটি মুখ্য ভূমিকা থাকে। ভোটের আগে জরুরি কাজগুলো যতদূর সম্ভব শেষ করে রাখতে হবে। জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করাই গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি। কিন্তু এই প্রক্রিয়া তখনই কার্যকর হয়, যখন নির্বাচন হয় অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে। আর এই সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব পালন করে প্রশাসন। নির্বাচনকালীন সময়ে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বই নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সালেহ আহমেদ বলেন, যথাযথভাবে মনোযোগ সহকারে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আপনাদেরই আবার মাঠ পর্যায়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের আপগ্রেড করতে হয়, ডিজিটাল যুগে নিজেকে আপগ্রেড না করতে পারলে পিছিয়ে থাকতে হবে। ডিজিটাল ভূমিসেবার মূল লক্ষ্য হলো জনগণকে সহজ, সাশ্রয়ী ও স্বচ্ছ ভূমি সেবা প্রদান। কিন্তু অনেক সাধারণ মানুষ এখনও জানেন না, অনলাইনে কীভাবে খতিয়ান তোলা যায়, নামজারি করা যায় বা ভূমি কর প্রদান করা যায়। জনগণ যদি এসব বিষয়ে সচেতন না হয়, তাহলে ডিজিটাল ব্যবস্থার সুফল তারা পাবে না এবং পুরোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকেই যাবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মো. লিটন চৌধুরী। #

এইরকম আরও খবর

সর্বশেষ খবর

ব্রেকিং নিউজ
সকালে খালি পেটে কলা খেলে কী হয়? ২৩ নভেম্বর ফিরছেন তারেক রহমান বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমা ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ ২৮ বছর বয়সে এ প্রজন্মের আইকন বকশীগঞ্জে ফেসবুকে অপপ্রচার ও সম্মানহানির প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী টেবিল টেনিস অনুর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট শুরু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামপুরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা আমরা গণভোট চাই না, আমরা চাই আপনাদের ভোট – সচিব ও সংসদ সদস্য মুশফিকুর রহমান গাইবান্ধায় বিদ‍্যুৎম্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যু উজিরপুর আন নূর নূরানী ও হাফেজী মাদ্রাসায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত