বিশেষ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি চেক প্রত্যাখ্যান (ডিজঅনার) মামলায় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও চেকে উল্লেখিত ৪০ লাখ টাকার অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবী দন্ডপ্রাপ্ত আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম এর।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আবুল বাসার মোঃ নাহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ড প্রাপ্ত রফিকুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।
মামলার বাদী ব্যবসায়ী হাম্মাদ আলী জানান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম ওরফে চাইনিজ রফিককে তিনি ধার হিসেবে ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। দুই মাসের মধ্যে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আজ অবধি পরিশোধ করেননি এবং মামলা করার পর বিভিন্ন সময়ে আসামি হুমকিও দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর হলেও এই রায়ে আমি সন্তুষ্ট।
বাদীপক্ষের আইনজীবী রবিউল ইসলাম জানান, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী মো. হাম্মাদ আলী মামলাটি দায়ের করেন। আরজিতে তিনি উল্লেখ করেন, রফিকুল ইসলাম ব্যবসায়িক প্রয়োজনে ৪০ লাখ টাকা ধার নেন এবং পরবর্তীতে পরিশোধ না করায় তাগাদা দিলে প্রাইম ব্যাংকের চারটি চেক (প্রতি চেক ১০ লাখ টাকা করে) প্রদান করেন। কিন্তু ব্যাংকে জমা দেওয়ার পর অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো প্রত্যাখ্যাত হয়।
অন্যদিকে, রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এ রায়ে অসন্তুষ্ট এবং উচ্চ আদালতে আপিল করবো। #