পুঠিয়ার দুটি ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থীরা জয়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার দুটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এর মধ্যে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল ১৩ হাজার ৩৩০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু হায়াত পেয়েছেন ৮ হাজার ৬৪৭ ভোট। অপরদিকে ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তাকবির হাসান ৯ হাজার ৬৫৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৮ হাজার ৫৮ ভোট।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নুল আবেদিন সাংবাদিকদের জানান, দুটি ইউনিয়নের মধ্যে বেসরকারি ফলাফলে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল ও ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাকবির হাসানকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
নির্বাচনে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত সাজ্জাদ হোসেন মুকুল (নৌকা), বিএনপি মনোনীত আসাদুজ্জামান আবু হায়াত (ধানের শীষ) ও ওয়ার্কার্স পার্টির আজাহারুল ইসলাম (হাতুড়ি)। আর ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত তাকবির হাসান (নৌকা), বিএনপি মনোনীত তৌহিদুল ইসলাম (ধানের শীষ), জামায়াতে ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী মঞ্জুর রহমান (চশমা) ও বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল গণি পিন্টু (ঘোড়া)।
এর আগে শিলমাড়িয়া ও ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নে সকাল ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এরপর এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে শুরু হয় ভোট গণনা। ভোট গণনা শেষে উপজেলা রির্টানিং অফিসার বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ২৭ হাজার ৬৬৯ জন ও ভাল্লুকগাছি ইউনিয়নের ২৫ হাজার ৩৩২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.