ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেখে রিকশা-চালকের বাড়িতে ১০ দিনের খাবার পাঠালেন এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম!

বিশেষ প্রতিনিধি: মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য” এই প্রতিপাদ্যকে যথারীতি সম্মান জানিয়ে হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝেও ফেইসবুকের স্ট্যাটাস দেখে রিকশা-চালকের বাড়িতে ১০ দিনের খাবার পাঠালেন মানবতার ফেরিওয়ালা ও পুলিশ বাহিনীর আইকন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের একাধিক সুত্র থেকে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার এই সুযোগ্য পুলিশ সুপার নিজ জন্মভূমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটি ও মানুষের কাছে আত্মমানবতার সেবাই বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করায় ইতোমধ্যেই জেলার সূর্যসন্তান, মানবতার ফেরিওয়ালা ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রাণের স্পন্দন নামে ভূষিত হয়েছেন।

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিক থেকেই নিজ কর্মস্থল থেকে শুরু করে প্রাণপ্রিয় জন্মভূমির মাটি ও মানুষের টানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

ইতোমধ্যে করোনায় তিনার সার্বিক প্রচেষ্টায় সৈয়দ পরিবারের উদ্যোগে জনসচেতনতার পাশাপাশি শিবগঞ্জের হাজার হাজার অসহায় ও গরীব পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

এর’ই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজ কর্মস্থলে বসে প্রতিদিন যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চোখ রাখেন তিনি। সেই সময় ফেইসবুকে দেখেন এক অভুক্ত রিকশা চালকের অসহায় পরিবার নিয়ে লেখা স্টাটাস ততক্ষণাত কর্মস্থলে বসেই ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন।

এর’ই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার (১৫ মে) ২০২০ ইং তারিখে ওই হতদরিদ্র রিকশা-চালকের নিজ বাড়িতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি যথাক্রমে, চাউল, তেল, আলু ও লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।

এ ছাড়াও ইতিপূর্বে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এর পৃষ্ঠ পোষকতায় ৬০০০ (ছয় হাজার) হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সুত্র থেকে জানা যায়, ওই রিকশাচালকের নাম মোঃ কাজিম পিতা- মালাবক্স গ্রাম- পারচৌকা। সে রিকশা রেখে পেটের দাগিদে ধান কাটতে গিয়েছেন। তার স্ত্রী ৩টি কন্যা সন্তান নিয়ে তিন দিন থেকে ভুট্টার ছাতু খেয়ে রোজা রাখছেন। এটি ফেইসবুকে স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৪৭মিনিটে বিষটি চোখে পড়ে কুমিল্লা জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের। সাথে সাথেই তিনি ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন। তাৎক্ষণিক মুঠোফোনেই এই অসহায় পরিবারটির খবর নেওয়ার জন্য অবগত করেন এবং ১০দিনের খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সেই মতোই তার প্রতিনিধিরা যথাযথ ভাবে ব্যাবস্থা নেন।

এসময় পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শিবগঞ্জ মনাকষা ইউনিয়নের সংগ্রামী সভাপতি এম ইমরান খানের নেতৃত্বে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অসহায় মানুষের খোঁজ খবর নেওয়াসহ এই হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আলাউদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি মেজবাউল আলম, মনাকষা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন ও সালাউদ্দিন ইন্টু।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.