‘৯৯৯’ এ জরুরী সেবার সুফল \ প্রতারক আজিম গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: ‘৯৯৯’ এ জরুরী সেবার সুফল পাচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী। জরুরী সেবা ট্রিপল নাইন-৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অভিযোগ আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেনের নির্দেশে পুলিশের অভিযানে আজিম উদ্দিন নামে একজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসময় মোবাইল ফোন ও কেস স্লিপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দিননাথপুর গ্রামের মো. খুরশেদ আলীর ছেলে আজিম উদ্দিন (২৭)।
জেলা পুলিশের প্রেসনোটে জানা গেছে, গতকাল বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মাসিদুল নামে ১ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে এসে জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে প্রতারণার বিষয়টি জানায়। পরে মাসিদুলের সহায়তায় সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল প্রতারক আজিমকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিম প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গোমস্তাপুর উপজেলার মাসিদুল ইসলাম গত ১২ ডিসেম্বর তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় মোটরযান আইনে মামলা হয়। সে গ্রামের মানুষ তাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে খুব কম আসে। তেমন কেউ পরিচিতও কেউ নেই। গত ২০ ডিসেম্বর মামলাটি ভাঙ্গানোর জন্য কোর্ট চত্ত¡র এলাকায় আসে মাসিদুল।
আর সেখানেই পরিচয় হয় আজিম উদ্দিনের সাথে তার। আজিম উদ্দিন তাকে জানায় পুলিশের সাথে তার ভাল সম্পর্ক আছে বলে কৌশলে তার কাছ থেকে কেস স্লিপ ও ১ হাজার ৩০০ টাকা নেয় এবং আগামী ২২ ডিসেম্বর এসে মানি রিসিট নিয়ে যেতে বলে।
এরপর কয়েকদিন পর প্রতারক আজিম ফোন করে মাসিদুলকে আবারও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আসতে বলে। ২৯ ডিসেম্বর মাসিদুল দুপুরে গ্রীণ ভিউ স্কুলের সামনে আসে। সেখানে আজিম আবারও কৌশলে মাসিদুলের স্মাট ফোনটি দেখবে বলে নিয়ে নেয়। ফোন নিয়ে বলে আরও ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে কেস স্লিপ ও মোবাইল ফোন দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এ ছাড়াও এ ঘটনা কাউকে জানালে মোটরসাইকেল কেড়ে নেবারও হুমকি দেয় আজিম।
এরই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাৎক্ষণিক ৯৯৯-এ কল দিয়ে সেবা পাওয়ায় বিষয়টি আবারও প্রমাণ হলো। ট্রিপল নাইন এর উপকার পেতে, যে কোন বিপদে ৯৯৯-এ ফোন দিন, সেবা নিন।
উল্লেখ্য, প্রতারক আজিম উদ্দিনকে পূর্বে বারঘরিয়া ইউনিয়নে মাদকসহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলো।
প্রিয় চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি ও প্রতারনার ঘটনা সংগঠিত হতে পারে। যেমন–আমি ডিবি পুলিশ, আপনার মানিব্যাগে জাল টাকা/ইয়াবা আছে। মানিব্যাগ চেক করার কথা বলে মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। আবার ডিবি পরিচয়ে মানুষকে গাড়ীতে তুলে বিভিন্ন রকম হয়রানি করতে পারে।
মোটরসাইকেল থামিয়ে পুলিশের পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যাচ্ছি বলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে।
পুলিশের পরিচয় দিয়ে কোন দোকানদারের নিকট থেকে জিনিস বাকিতে নিয়ে, তারপর আর কোন খবর নাই। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ তৎপর আছে।
এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে যে কোন তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানানোর আহবান জানিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব বিপিএম-পিপিএম।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.