৮০ শতাংশ শেষ দেশের সর্ববৃহৎ রাবার ড্যামের নির্মাণ কাজ


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরের কাছে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ৫০০ মিটার ভাটিতে মহানন্দা নদীতে নির্মিত হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ রাবার ড্যাম। বছরজুড়ে মহানন্দার নাব্যতা রক্ষা করা, ভাঙনরোধ ও ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রভাবে শুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য হয়ে পড়া জেলার বরেন্দ্র এলাকাসহ এর আশেপাশে সেচকাজে মানুষের চরম দুর্ভোগ মোকাবিলায় নির্মাণ করা হচ্ছে এই বারাব ড্যাম।
চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যেএই রাবার ড্যাম প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। চাপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বাংলাদেশ ও চীনের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে এ প্রকল্পের কাজ।
৩৫৩ মিটার দীর্ঘ ও ১৫৮ মিটার প্রস্থের এই রাবার ড্যামটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে শুষ্ক মৌসুমে সদর উপজেলার রেহাইচর থেকে ভোলাহাট পর্যন্ত নদীতে প্রায় ১৩ ফুট নাব্যতা বিদ্যমান থাকবে। একইসঙ্গে সেচের আওতায় আসবে মহানন্দার উভয় পাড়ের প্রায় ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি, এর ফলে প্রায় দ্বিগুণ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নদীতে মৎস্য প্রজনন ও আহরণে বিরাট সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন; প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে ওই এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান,এ বছরের মে মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জুন মাসে শেষ হবে প্রকল্পটির সম্পূর্ণ কাজ। ড্যামটি নির্মিত হলে ৮০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কৃষিতে অপার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
ওই এলাকার কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুষ্ক মৌসুমেভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় এবং মহানন্দার নাব্যতা হ্রাস পাওয়ায় সেচ কাজ খুবই কঠিনও ব্যয়বহুলহয়ে পড়ে। ড্যামটি নির্মাণ শেষ হলে তাঁদের সেচকাজ সহজ হবে, তাঁরাতুলনামূলক কম খরচে বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য উৎপাদন করতে পারবে। এজন্য তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুততম সময়ে এর সুফল ভোগ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য,২০১১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সফরে এসে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবেমহানন্দা নদীতে আর্ন্তজাতিক মানের রাবার ড্যাম নির্মাণের ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের জানুয়ারিতেরাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৬ই জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পাস হয় প্রকল্পটি। এজন্যমোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয় ১৮৭ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।ওই সময় প্রকল্পটিরপ্রস্তাবনায়, এটিকেএকটি লাভজনক প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লিপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সেচ উইংয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে জানানো হয়।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, পিআইডি, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.