৮০ বছর পর আটলান্টিক চার্টারে স্বাক্ষর বাইডেন-জনসনের

(৮০ বছর পর আটলান্টিক চার্টারে স্বাক্ষর বাইডেন-জনসনের–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটলো গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন)। ১৯৪১ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্বাক্ষর করলেন আটলান্টিক চার্টার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪১ সালে যা প্রথম স্বাক্ষর করেছিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট।
গতকাল বৃহস্পতিবারই যুক্তরাজ্যে পৌঁছান জো বাইডেন। আজ শুক্রবার (১১ জুন) ও আগামীকাল শনিবার (১২ জুন) দুই দিন জি-৭ সম্মেলন চলবে। তারপর বাইডেন উইন্ডসর ক্যাসেলে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে একটি চা চক্রে যোগ দেবেন। রানীর সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত জিল বাইডেন বলেন, ‘আমি এবং জো উভয়ই রানীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমাদের এই সফলের উল্লেখযোগ্য অংশের একটি এটি। আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে এর অপেক্ষা করেছি এবং শেষ পর্যন্ত এটা ঘটতে চলেছে।’
মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা করতে চান প্রেসিডেন্ট বাইডেন। ট্রান্স আটলান্টিক পলিসি, রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সমঝোতা এবং চীন নিয়ে ঐক্যমত্য। এছাড়াও করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নিয়েও জি-৭ সম্মেলনে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বরিস জনসন এবং জো বাইডেন যে আটলান্টিক চার্টার স্বাক্ষর করেছেন, সেখানে রাশিয়া এবং চীনের প্রতি তাদের মনোভাব নিয়ে নীতি তৈরি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিন ধরেই ঠান্ডা-গরম সম্পর্ক চলে আসছে। এছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একনায়ক মনোভাবও পছন্দ করে না যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন চাইছেন, ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় এসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি গড়ে তুলতে। চীনের ক্ষেত্রেও একই নীতি অবলম্বন করতে চাচ্ছেন তিনি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.