৭ বছর পর কোয়ার্টার ফাইনালে চেলসি

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে দীর্ঘ সাত বছর কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। তারা দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাব অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদকে। প্রথম লেগে ১-০ ব্যবধানে জয়ের পর ফিরতি লেগে অ্যাথলেটিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে টমাস টুখেলের দলটি।
বুধবার (১৭ মার্চ) রাতে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগের ম্যাচের হাকিম জিয়াশের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর শেষ দিকে এমেরসনের গোলে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয় চেলসির। এর আগে ২০১৪ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল তারা।
ঘরের মাঠে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্লুজরা। এ সময় টিমো ওয়ার্নারের ক্রস থেকে হাকিম জিয়াশ গোল করেন অ্যাথলেটিকোর গোলরক্ষক জান অব্লাককে বোকা বানিয়ে। জার্মান ফরোয়ার্ড টিমো ভেরনার পাস ধরে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মরক্কোর মিডফিল্ডার জিয়াশ। গোল হজমের পর চাপে পড়ে যায় জেতার লক্ষ্য নিয়ে আসা অ্যাথলেটিকো।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করে অ্যাথলেটিকো। তবে ৮১তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারকে কনুই দিয়ে আঘাত করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখেন স্তেফান সাভিচ। তাতে ১০ জনের দলে পরিণত হলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা বলতে গেলে শেষই হয়ে যায় সিমিওনির শিষ্যদের।
অবশ্য বাকি সময় ১০ জন নিয়ে খেলে জালের নাগালই পায়নি স্প্যানিশ ক্লাবটি। উল্টো যোগ করা সময়ে (৯০+৪) বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা চেলসির এমারসন গোল করে ২-০ ব্যবধানের জয় উপহার দেন। তাতে শেষ আটে যাওয়া নিশ্চিত হয় চেলসির।
শেষ আটের বাকি দলগুলো হলো- পিএসজি, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, লিভারপুল, পোর্তো ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। আগামী শুক্রবার হবে কোয়ার্টার-ফাইনাল ও সেমি-ফাইনালের ড্র।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি চেলসির দায়িত্ব নেন টুখেল। এরপর থেকে হারেনি দলটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এ নিয়ে ১৩ ম্যাচ অপরাজিত রইলো তারা। নতুন কোচের হাত ধরে অপরাজেয় পথচলার এটাই রেকর্ড চেলসির। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.