৭১০টি পাখি অবমুক্ত করলো র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

ঢাকা প্রতিনিধি: বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন ভেঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি খাঁচায় বন্দি রেখে বিক্রির অপরাধে ৪ জনকে দণ্ড প্রদান করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। অভিযান চালিয়ে ৭১০টি বন্য পাখি অবমুক্ত করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

আজ শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে ৩ প্রজাতির পাখিগুলো অবমুক্ত করেন র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

র‍্যাব জানায়, সাভারের আশুলিয়া থেকে ৩ প্রজাতির বন্য পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। বন্য পাখিগুলো অবৈধভাবে খাঁচায় বন্দি করে বিক্রি করে আসছিলো একটি চক্র। পরে বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সহযোগিতায় টিয়া, ঘুঘু ও মুনিয়া মিলিয়ে ৭১০টি পাখি অবমুক্ত করা হয়।

এ পাখিগুলো দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে অবৈধভাবে শিকার করা হয়েছিলো। অবৈধভাবে বন্য পাখি শিকার ও বিক্রির অপরাধে ৪ জনকে ১ বছর করে সাজা দিয়েছে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: চাঁন মিয়া, রহমত শেখ, , উসমান গণি ও রফিকুল ইসলাম।

অভিযান শেষে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, কিছু অবৈধ সংঘবদ্ধ চক্র দেশের বিভিন্ন উপকূল ও বগুড়া থেকে পাখি শিকার করে নিয়ে এসে বেশকিছু দিন ধরে এ ব্যবসা করছে। এর আগেও আমরা বেশ কিছু অভিযান চালিয়েছি এবং বেশ কিছু লোককে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকে আমরা ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে সাজা দিয়েছি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। আমরা একটি বিষয় স্পষ্ট করে বলতে চাই এই পাখিগুলো আমাদের প্রকৃতির একটি বড় সম্পদ। এই পাখিগুলোর মাধ্যমে আমাদের প্রকৃতির ফুল ফলের পরাগায়ন হয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয়। সুতরাং যারা এই সমস্ত অপরাধ করবেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরো বলেন, যেসব স্থানে এসব পাখি অবৈধভাবে বিক্রি হয় সেখানে আমাদের বন বিভাগের বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি আমরাও নজর রাখছি। যে সমস্ত এলাকায় বা বাজারে পাখি বিক্রির হাট রয়েছে সেখানে কোনো বন্য প্রাণী বা বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বিক্রি করা হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা চাইনা কেউ অপরাধ করুক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেইজে বিভিন্ন ধরনের বন্য প্রাণী বিক্রি করার অভিযোগ আছে এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, বন বিভাগের পাশাপাশি র‍্যাবের সাইবার ইউনিট সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। যাতে অনলাইনে কেউ অবৈধ ব্যবসা না করতে পারে। সরকার, রাষ্ট্র বিরোধী, পরিবেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড করলে তদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড়া দেওয়া হবে না।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ঢাকা প্রতিনিধি মোমাসুদ রানা খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.