৬৩- থেকে ৬৮ টা আসন পেতে চলেছে পদ্মশিবির দাবী অমিত শাহের 

(৬৩- থেকে ৬৮ টা আসন পেতে চলেছে পদ্মশিবির দাবী অমিত শাহের –ছবি: প্রতিনিধির)
কলকাতা প্রতিনিধি: তিন দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। নানা মহলে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে এ যাবৎ হওয়া নব্বইটি আসনের কোনটিতে কোন দলের পক্ষ নিয়েছে মানুষ। শুরু হয়ে গিয়েছে হাওয়া বোঝার চেষ্টাও। এরই মধ্যে আরও একবার রাজ্যে অমিত শাহ। ডোমজুড়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে এসে তাঁর দাবি ৬৩- থেকে ৬৮ টা আসন পেতে চলেছে পদ্মশিবির।
এ দিন ডোমজুরের রোড শো চলাকালীনই অমিত শাহ বলেন, “বাংলায় তিন দফার ভোট হয়েছে। আমাদের পর্যবেক্ষণ আমরা৬৩ থেকে ৬৮ টা আসন জিতব।গণনায় দেখা যাবে ২০০ এর বেশি আসন পাবো।”
কিন্তু এই পর্যবেক্ষণ কী গ্রাউন্ড রিপোর্ট ? কী দেখে এই ব্যখ্যায় যাচ্ছেন তিনি? ব্যখ্যার ধারপাশ দিয়ে গেলেন না শাহ। উল্টে বললেন, তৃণমূল নেত্রী হতাশ, ভাষণেই ধরা পড়ছে। এই হতাশাই বলে দিচ্ছে আমরা জিতছি। বাংলার জনতা নরেন্দ্র মোদিকে বিশ্বাস করে সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে দিচ্ছে।
একই সঙ্গে‌ রাজীব বন্দ্য়োপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন অমিত শাহ। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর জয় নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। শাহের কথায়, আমাদের দলের মাননীয় সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে এসেছিলাম। একটা পঞ্চায়েত অঞ্চলেও মানুষের যে উৎসাহ দেখলাম, আমি সুনিশ্চিত ভাবে বুঝলাম রাজীব এখানে পদ্ম ফোটাবেন।
অমিত শাহের এই আত্মবিশ্বাসকে কটাক্ষের হুল ফোটাতে অবশ্য ছাড়েনি তৃণমূল। কুনাল ঘোষের উক্তি,  হার নিশ্চিত বুঝে প্রলাপ বকছেন উনি।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল সুপ্রিমোও কিন্তু জয়ের বিষয়ে একই রকম আত্মবিশ্বাসী। যেখানেই সভা করছেন বলছেন, জিতব জানি, কিন্তু দুশো আসন চাই। দুপক্ষই মাত্র ৯০ আসনের লড়াই হয়েছে, দুপক্ষই কী করে জয়ের আলো দেখতে পাচ্ছেন! রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আসলে জয় হার বুঝতে এখনও অনেকটা পথ হাঁটতে হবে। প্রত্যেকেই নেমেছেন ধারণা তৈরির খেলায়। এই ধরনের আত্মবিশ্বাসের জাহিরির মূল কারণ হল কর্মীদের মনোবল অটুট রাখা,  পাশাপাশি ভোটের হাওয়া তৈরি করে পরবর্তী দফায় স্রোতকে অনুকূলে আনা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.