৫৩ ব্যাগ ভর্তি মানব দেহাংশ মেক্সিকোতে উদ্ধার

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অক্টোবর মাস থেকে মেক্সিকোতে উদ্ধার হয়েছে ৫৩ ব্যাগ ভর্তি মানবদেহ। মেক্সিকোর গুয়ানাজুয়াতোর শহর ইরাপুয়াতোতে একটি কুকুরকে তার মুখে মানুষের হাত বহন করতে দেখা যাওয়ার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে মানবদেহসহ মোট ৫৩টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বেশিরভাগ স্থানীয়দের মতে, মধ্য মেক্সিকোর এই অঞ্চলগুলোতে অনেক অপরাধ ও গ্যাং সহিংসতা হয়। আর সে কারণে খুনের ঘটনাও বেশি হচ্ছে।
দুই গ্যাংয়ের সংঘর্ষে নিহতদের লাশ মাটির নিচে পুতে ফেলা হয়। আর উদ্ধার হওয়া দেহাবশেষ তারই ফল বলে দাবি করেছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
একটি কুকুরকে তার মুখে মানুষের হাত বহন করতে দেখা যাওয়ার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল
(একটি কুকুরকে তার মুখে মানুষের হাত বহন করতে দেখা যাওয়ার পর এই অনুসন্ধান শুরু হয়েছিল)
মেক্সিকোর সবচেয়ে অপরাধ প্রবণ রাজ্য হিসেবে গুয়ানাজুয়াতোর খ্যাতি রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে প্রায় দুই হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ। ইরাপুয়াতোও মেক্সিকোর ওই শহর যেখানে বেশিরভাগ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, মেক্সিকো জুড়ে অপরাধের হার ড্রাগ কার্টেলের কারণে এত বেশি। সরকারি কর্মকর্তারা আরও জানান, অপরাধীদের দমনে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।
দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে
(দেহাবশেষের পরিচয় নিশ্চিত করতে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে)
৩২ বছর বয়সী বিবিয়ানা মেন্ডোজার ভাই গত কয়েক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে তার ভাই মারা গেছেন। কিন্তু কুকুরের মুখে মানুষের হাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান মেন্ডোজা। কিন্তু ৫৩টি ব্যাগে তার ভাইয়ের লাশ আছে কি না তা নিয়ে তিনি বিভ্রান্ত।
তিনি জানান, ‘সারাদেশে মানুষ সারভান্তিনো উৎসব উদযাপন করছে কিন্তু আমরা মাটি খুঁড়ছি। কিন্তু সবই অর্থহীন, কারণ আমরা যখন এই মৃতদেহগুলো উদ্ধার করছি, তখন আরও বেশি লোককে হত্যা করে কবর দেওয়া হচ্ছে।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.