৪ বছরের নিষেধাজ্ঞায় টেনিস তারকা হালেপ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: মাদকাসক্তির কারণে খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড় এই কারণে বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন।
এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন টেনিস তারকা সিমোনা হালেপ। মেয়েদের র‌্যাংকিংয়ে একটা সময় শীর্ষে থাকা এই তারকা ডোপিং আইনের দুইটি ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন।
গতকাল এই ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ইন্টেগ্রিটি এজেন্সি (আইটিআইএ) জানায়, সিমোনা হালেপ ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ডোপিং–বিরোধী নীতিমালা ভেঙেছেন। খেলাধুলায় নিষিদ্ধ উপাদান রোক্সাডাস্টট্যাট নেওয়ায় গত বছর ডোপ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছিলেন তিনি। গত মে মাসে তিনি অন্য একটি ডোপিং নীতিমালা ভাঙার দায়েও অভিযুক্ত হন, যে কারণে তার ‘বায়োলজিক্যাল অ্যাথলেট পাসপোর্টে’ অনিয়ম ধরা পড়েছিল।
হালেপকে এর আগে প্রাথমিকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় গত বছরের অক্টোবর মাসে। এবার তাকে পূর্ণ মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চার বছরের এই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৭ অক্টোবর ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ৬ অক্টোবর ২০২৬ সাল পর্যন্ত থাকবে। যদিও এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করার অপশন রয়েছে রোমানিয়ান এই টেনিস তারকার।
এদিকে ডোপিং টেস্টে অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হালেপ। তিনি বলেন, তিনি কোনো নিষিদ্ধ ওষুধ খাননি। অসুস্থতার জন্য তাকে রক্ত স্বল্পতার ওষুধ খেতে হয়েছিল। তিনি যে ওষুধ খেয়েছেন, তা নিষিদ্ধ নয়। হালেপ যে ওষুধ খাওয়ার দাবি করেছেন, তা খেলে শরীরে কিছু পরিমাণ রোক্সাডাস্টট্যাট থাকতে পারে। কিন্তু তার শরীরে যে পরিমাণ রোক্সাডাস্টট্যাট পাওয়া গেছে, তা তার দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছে আইটিআইএ।
টুইটারে হালেপ বলেন, ‘আমি আইটিআইএর এই সিদ্ধান্ত মানছি না। এখনও নিজে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি। নিজের নামে লাগা কলঙ্ক দূর করতে যতটুকু সম্ভব আমি করে যাব। আমার বিরুদ্ধে আনা এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। আমি সব মিথ্যা প্রমাণ করব। কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টসে এর বিরুদ্ধে আবেদন জানাব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.