৪২ বছর পর ফাইনালে উঠে রেঞ্জার্সকে পেলো ফ্রাঙ্কফুর্ট

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালেই বার্সেলোনাকে হারিয়ে এসেছিল জার্মান ক্লাব এইন্ট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট। এতবড় একটি জয়ের পর তাদের ফাইনাল না খেলাটা হতো বিস্ময়কর।
তারওপর ৪২ বছর পর প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ফাইনালের হাতছানি, ফ্রাঙ্কফুর্ট এতবড় সুযোগ হেলায় হারাতে চাইবে না নিশ্চিত। সেটাই হলো, সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে জার্মান ক্লাবটির।
অন্যদিকে ইউরোপা লিগের অপর সেমিফাইনালে আরেক জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেছে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্স।
সেমিফাইনালে প্রথম পর্বের ম্যাচে ওয়েস্টহ্যামের মাঠ থেকে ২-১ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছিল ফ্রাঙ্কফুর্ট। যে কারণে ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল তারা। তবে, ফিরতি লেগে জিতলেও বেশ ভুগতে হয়েছে জার্মান ক্লাবটিকে। ৪৮ হাজার দর্শকের সামনে ২৬ মিনিটে রাফায়েল বোরের একমাত্র গোলটিছাড়া ওয়েস্টহ্যামের জাল খুঁজে পায়নি জার্মানরা।

Rangers

যদিও ম্যাচের মাত্র ১৯ মিনিটই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ওয়েস্ট হ্যাম। জেনস পিটার হাউজকে বাজেভাবে ফাউল করার কারণে অ্যারোন ক্রেসওয়েলকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। এই সুযোগটা প্রথমেই কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয় ফ্রাঙ্কফুর্ট।
শুধু ক্রেসওয়েলই লাল কার্ড দেখেননি ওয়েস্টহ্যামের কোচ ডেভিড ময়েসকেও লাল কার্ড দেখিয়েছেন রেফারি। ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে রাগান্বিত হয়ে বলে লাথি দেয়ার কারণে রেফারি লাল কার্ড দেখান।
সর্বশেষ ১৯৮০ সালে ইউরোপিয়ান ফাইনালে উঠেছিল। এবার তারা আগামী ১৮ মে ফাইনালে মুখোমুখি হবে স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সের। যারা আরবি লেইপজিগকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে।
অন্যদিকে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় পেয়েও ফাইনালে উঠতে পারলো না আরেক জার্মান ক্লাব আরবি লেইপজিগ। ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে জয়ের কারণে দুই লেগ মিলিয়ে রেঞ্জার্স এগিয়ে ছিল ৩-২ গোলে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যায় রেঞ্জার্স। জেমস জেমস ট্যাভের্নিয়ের গোল করে এগিয়ে দেন স্কটিশ ক্লাবটিকে। ২৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গ্লেন কামারা। ৭০ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুনকুন একটি গোল শোধ করলে নাটক জমে ওঠে। কারণ এ সময় দুই দলেরই গোল ব্যবধান দাঁড়িয়েছিল ২-২।
তবে খেলা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে ম্যাচের রঙ বদলে দেন জন লান্ডস্ট্রাম। ৮০ মিনিটে তার করা গোলের ওপর ভর করেই ফাইনালে উঠে গেলো রেঞ্জার্স। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.