নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গায় ৪০ বছর ধরে সেতু থাকলেও নির্মাণ করা হয়নি সড়ক। ফলে কাজে আসছে না সেতুগুলো। সড়ক না থাকায় কয়েক গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জানা যায়, নাটোরের নলডাঙ্গায় ৪০ বছর আগে বন্যায় সড়ক বিলীন হলেও পরে আর সংস্কার হয়নি। সড়ক থেকে ২০ ফুট উপরে কালের সাক্ষী হয়ে ৪০ বছর ধরে দাঁড়িয়ে আছে সেতুগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউনিয়নের ভট্টপাড়া হতে খাজুরা ইউনিয়নে চলাচলের জন্য প্রায় সাড়ে ৫ কিলোমিটারের একমাত্র সড়ক ৪০ বছরেও সংস্কার হয়নি। এক সময় এখানে চলাচলের জন্য সড়ক থাকলেও বিগত ৪০ বছর আগেই বন্যায় তা বিলীন হয়ে যায়।
কিন্তু কালের সাক্ষী হয়ে এখনো দাঁড়িয়ে আছে এই পথে স্থাপিত সেতুগুলো। জনপ্রতিনিধিসহ নেতাদের কাছে এলাকাবাসী বারবার জানালে, নেতারা কথা দিয়ে কেউ কথা রাখেনি।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় প্রভাব পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা থেকে বঞ্চিত এই এলাকার জনসাধারণ। এমনকি বর্ষার সময় চলাচলের জন্য নৌকা থাকলেও দুর্ঘটনার আশংকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে চায় না। আবার শুকনো মৌসুমে চলাচলের জন্য কৃষিজমির মালিকদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় দুর্গম ও অবহেলিত এই জনপদের মানুষদের।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রায় ৪০ বছর আগে সেতুগুলো নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সড়ক না থাকায় কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গ্রামের মানুষদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে সময়, অর্থ এবং শ্রমঘণ্টা। এখনো অনেকটা যোগাযোগ বঞ্চিত রয়েছে নুরিয়াগাছা, মহিষডাঙ্গাসহ আশপাশের গ্রামের মানুষগুলো। অতি দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবি জানান তারা।
খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, রাস্তাটি না থাকায় অনেক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। কৃষক তার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। রাস্তাটি নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বিটিসি নিউজকে জানান, ঢাকা থেকে টিম এসেছিল। তারা বিষয়টি সরেজমিনে দেখে গিয়েছে।
নলডাঙ্গা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. বেলাল হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, সড়কটি পর্যবেক্ষণ করে বিষয়টি অতি দ্রুত বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.