৩ বছরে সাপে কাটা ৩০ রোগীর সফল চিকিৎসক উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী একজন জনপ্রিয় নেতা ও জননন্দিত মানব সেবী হিসেবে সুপরিচিত। তবে তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে জেলায় খ্যাতি অর্জন করেছেন।
বর্ষা মৌসুমে এই উপজেলা সহ আশেপাশের বিল বিস্তৃত উপজেলাগুলোতে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। সাপের দংশনে মৃত্যুর সংখ্যাও এই অঞ্চলে কম নয়। সাপে কাটা রোগীদের ওঝা বা কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতার এই অঞ্চলে বেশি।
তবে এই প্রবণতাকে হাসপাতালমুখী করতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান উপজেলার বনপাড়াস্থ পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতাল।
গত ৩ বছরে এই হাসপাতালে ভর্তি হন ৩১ জন সাপে কাটা রোগী। ডা. সিদ্দিকুরের নেতৃত্বে হাসপাতালের বিশেষ চিকিৎসা ও পরিচর্যা টীম নিবিড় সেবা প্রদান করে ৩০ জনকে সুস্থ করে তোলেন।
আজ শনিবার দুপুরে হাসপাতালে কথা হয় সাপে কাটা রোগী উপজেলার নগর ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রী খোকন মোল্লার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগমের সাথে। তিনি জানান, গত রাত আড়াইটার দিকে ঘুমন্ত স্বামীকে বিষধর সাপ কামড় দেয়। এরপর স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোর সাড়ে ৪টায় ভর্তি করা হয় এই হাসপাতালে। ওই সময়ই ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী তার স্বামীকে চিকিৎসা দেন এবং সর্বক্ষণ রোগীকে পর্যবেক্ষণে রাখেন।
ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী বিটিসি নিউজকে বলেন, সাপে কাটা রোগী খোকন মোল্লাকে ২০ টি এন্টিভেনম ইনজেকশন এবং পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধ দেয়া হয়েছে। তার কার্ডিয়াক সহ পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। সে এখন আশংকামুক্ত।
তবে ডা. সিদ্দিকুর আরও জানান, সাপে কাটা রোগীদের যত দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হবে তার মৃত্যুর ঝুঁকিটাও ঠিক ততটাই কম হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.