৩৪ বছর পর নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা অস্ট্রিয়া

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচের শুরু থেকে উজ্জীবিত ফুটবল খেলল অস্ট্রিয়া। দুবার পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিবার সমতা ফেরাল নেদারল্যান্ডস। তৃতীয়বার আর পারল না তারা। তিন দশকের বেশি সময় পর ডাচদের হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে উঠল অস্ট্রিয়া।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ‘ডি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে ৩-২ গোলে জিতেছে রাল্ফ রাংনিকের দল।
একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে পোল্যান্ডের সঙ্গে ফ্রান্স ১-১ ড্র করায় গ্রুপ সেরাও হয়েছে অস্ট্রিয়া।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে অস্ট্রিয়ার ৬ পয়েন্ট। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ ফ্রান্স। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় হয়েছে নেদারল্যান্ডস। চার তৃতীয় সেরা দলের একটি হিসেবে ডাচদের শেষ ষোলোয় ওঠা নিশ্চিত হয় আগেই। ১ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে পোল্যান্ড।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টানা সাত হারের পর জয়ের স্বাদ পেল অস্ট্রিয়া। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল ১৯৯০ সালের মে মাসে, ভিয়েনায় প্রীতি ম্যাচে ৩-২ গোলে।
বড় টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ, ইউরো) ডাচদের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় অস্ট্রিয়ার প্রথম জয় এটিই। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে ৫-১ ও ২০২০ ইউরোর দেখায় ২-০ গোলে জিতেছিল নেদারল্যান্ডস।
ম্যাচের শুরুতে নেদারল্যান্ডসের ওপর প্রবল চাপ বাড়ায় অস্ট্রিয়া। সাফল্যও পায় তারা দ্রুত। ষষ্ঠ মিনিটে আক্রমণে উঠে বাঁ দিক থেকে বক্সে পাস দেন আলেক্সান্দার প্রাস। স্লাইডে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালেই পাঠান ডাচ ফরোয়ার্ড ডোনিয়েল মালেন।
চতুর্দশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় নেদারল্যান্ডস। তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি কোডি হাকপো। ২৩তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মালেনের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
বিরতির আগে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হারায় অস্ট্রিয়া। প্রথমে মার্সেল সাবিৎজারের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ডাচ গোলরক্ষক। খানিক পর গোলরক্ষককে একা পেয়েও কাছ থেকে বল জালে পাঠাতে পারেননি মার্কো আর্নাতোভিচ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সমতায় ফেরে নেদারল্যান্ডস। মাঝমাঠ থেকে বল ধরে এগিয়ে বক্সে পাস দেন শাভি সিমন্স। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে জালে পাঠান হাকপো।
ডাচদের সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ টেকেনি। দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের প্রথম আক্রমণে ৫৯তম মিনিটে ফের এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে বাঁ দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে ক্রস দেন ফ্লোরিয়ান, আর ডাইভিং হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন রোমানো।
পায়ে অস্বস্তি অনুভব করায় ৭২তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন মালেন। তার বদলি নামেন ভঠ ভেহর্স্ট, যিনি পোল্যান্ডের বিপক্ষে বদলি নেমে শেষ দিকে গোল করে জিতিয়েছিলেন দলকে।
মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই প্রভাব রাখেন ভেহর্স্ট। ৭৫তম মিনিটে বক্সে তার হেড পাসে দারুণ শটে স্কোরলাইন ২-২ করেন মেমফিস ডিপাই। শুরুতে হ্যান্ডবলের বাঁশি বাজলেও ভিএআর মনিটরে দেখে গোল দেন রেফারি।
৮০তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। ক্রিস্টফ বামগার্টনারের চমৎকার পাস বক্সে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড সাবিৎজার।
একটু পর জালে বল পাঠান বামগার্টনারও, তবে অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
শেষ দিকে অস্ট্রিয়ার ওপর চাপ বাড়ায় রোনাল্ড কুমানের দল। তবে কিছুতেই সমতা ফেরানো গোলের দেখা পায়নি তারা। দারুণ জয়ের উল্লাসে মাতে অস্ট্রিয়া। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.