২৯ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারীকরণ হলোনা ফজলুর ড্রাইভারের চাকুরিটি

‘নাটোর প্রতিনিধি: চাই না, বেতন চাই, পরিবার নিয়ে বাঁচতে চাই’, ‘বয়স করলাম শেষ সরকারীকরণের আশায়, বেকার খাটলাম চাকরি পাবার আশায়’। এই কলেজে দীর্ঘ দিন চাকরি করার ফলে আমার সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। অন্য কোথাও আর আমার চাকরির সুযোগ নাই।
কথাগুলো বলছিলেন, নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজ বাসের ড্রাইভার ফজলুর রহমান।
১৯৯২ সালে মাত্র এক হাজার টাকা বেতনে ছাত্রছাত্রী পরিবহণ বাসের চালক হিসেবে যোগদান করেন শহরের দক্ষিণ বড়গাছা এলাকার মৃত ওসমান গণির ছেলে ফজলুর রহমান। চাকুরিটা সরকারীকরণ করা হবে এ আশায় কেটে গেছে ২৯ বছর । এখন কলেজ ফান্ড থেকে বেতন হিসেবে দেয়া হয় ৮ হাজার ৫ শ”টাকা। এই দূর্মূল্যের বাজারে পরিবার-পরিজন নিয়ে অত্যান্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
এই ২৯ বছরে বহুবার আবেদন-নিবেদন করার পরও সরকারীকরণ হয়নি ড্রাইভারের চাকুরিটা। বিভিন্ন সরকারের সময় ফজলুর রহমানের চাকরিটা সরকারী করণের আশ্বাস দিলেও বাস্তবায়ন করেনি কেউ। কিন্তু ড্রাইভার ফজলুর রহমান নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজের একমাত্র বাসটিকে নিজের সন্তানের মতো সযত্নে চালিয়ে আসছেন ২৯ বছর ধরে । আজ পর্যন্ত বাসটির ইন্জিন খোলা পরেনি। ফলে,নতুন বাসের মতোই সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে কলেজ বাসটি।
ড্রাইভার ফজলুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আমি শিক্ষিত জাতি গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকার পালন করছি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ও অবহেলিত। কোন সরকারই আমার দিকে তাকায়নি। খেয়ে না খেয়ে ছাত্রছাত্রীদের আনা নেওয়ার কাজটি করে যাচ্ছি। আশা ছিল একদিন চাকুরিটা সরকারী হবে। ২৯ বছর পেরিয়ে গেছে এই চাকরিতে। এই কলেজে দীর্ঘ দিন চাকরি করার ফলে আমার সরকারি চাকরির বয়সসীমা শেষ হয়ে গেছে। অন্য কোথাও আর আমার চাকরির সুযোগ নাই।
নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারী কলেজের আপামর ছাত্র-ছাত্রীরা ফজলুর রহমানের চাকরিটা সরকারীকরণের জন্য আকুল নিবেদন জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিবের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.